ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর গতিময় এই পেসার নিজেই জানালেন সাফল্যের পেছনের কারণ।
Published : 24 Oct 2022, 06:39 PM
উইকেটে যে খুব বেশি সহায়তা ছিল, তা নয়। তবে নতুন বলে একটু মুভমেন্ট ছিল, সেটাই কাজে লাগিয়ে নেদারল্যান্ডসকে নাড়িয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ। তার দেখানো পথ ধরেই এগিয়ে গিয়ে জিতল বাংলাদেশ। ম্যাচের সুর বেঁধে দেওয়া গতিময় এই পেসার জানালেন, সঠিক লেংথ বেছে নেওয়াতেই মিলেছে সাফল্য।
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে ৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৪৪ রানের পুঁজি নিয়ে ডাচদের থামিয়ে দিয়েছে ১৩৫ রানে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে এতে সবচেয়ে বড় অবদান তাসকিনের। ২৫ রানে তিন নেন ৪ উইকেট। অবদান রাখেন অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও।
ইনিংসের প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট নিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন তাসকিন। চতুর্থ-পঞ্চম স্টাম্পের লাইনে পিচ করা ডেলিভারি দুটিতে কিছুটা মুভমেন্ট ছিল। তাতেই পরাস্ত হন বিক্রমজিত সিং ও বাস ডে লেডে।
হ্যাটট্রিক বলটি আরও একটু ভেতরে করেন তাসকিন। অফ স্টাম্প বরাবর পিচ করা ডেলিভারিটি ছোট মুভমেন্টে যাচ্ছিল মিডল স্টাম্পের দিকে। সেটি অনসাইডে ঠেলে দিয়ে তাসকিনের হ্যাটট্রিক ঠেকান কলিন আকারম্যান। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান খরচ করেন তাসকিন। পরে নিজের শেষ ওভার করতে এসে ফিফটি করা আকারম্যান ও বিশ্বকাপে অভিষিক্ত শারিজ আহমাদের উইকেট নেন তিনি।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে তাসকিন জানালেন, কীভাবে পেলেন এই সাফল্য।
“আমি মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাক মতো করার জন্য চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংসে নেদারল্যান্ডসের বোলিংয়ে দেখেছি ভালো মুভমেন্ট ছিল, ক্যারিও ছিল। সেজন্য আমি টেস্ট ম্যাচ লেংথে বল করেছি। দুই দিকে বল মুভ করাতে চেয়েছি। এটাই কাজে দিয়েছে।”
দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে কাজ করে কবজির অবস্থান ঠিক করে বললেন তাসকিন। উন্নতির ধারা বজায় রেখে বিশ্বমানের বোলার হওয়ার লক্ষ্য তার।
"বোলিংয়ের সময় আমার কবজির অবস্থান ভালো হচ্ছে। আমি দুই দিকেই বল মুভ করাতে পারি। উন্নতিতে মনোযোগ দিচ্ছি, হতে চাই বিশ্বমানের বোলার।"