ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক।
Published : 02 Aug 2022, 12:05 PM
শেষ ওভারে প্রকিপক্ষের প্রয়োজন ১০ রান। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার ২ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ১২। শেষ ওভারে চোখ বন্ধ করেই তার ওপরই আস্থা রাখার কথা অধিনায়কের। অথচ রোহিত শর্মা কিনা বেছে নিলেন এই ম্যাচেই খরুচে বোলিং করা অনভিজ্ঞ এক পেসারকে। খেসারত দিতে হলো ম্যাচ হেরে। তবে তাতে আফসোস নেই ভারতীয় অধিনায়কের। ম্যাচ শেষে কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ঘটনা এটি। ১৩৮ রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে ভারত। ম্যাচের ফয়সালা চলে আসে শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণে। তখনও পর্যন্ত ২ ওভার বোলিং করে স্রেফ ১২ রান দিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি অভিজ্ঞ তো বটেই, স্লগ ওভারে সাফল্যের দারুণ সব পারফরম্যান্সও আছে তার।
কিন্তু রোহিত শর্মা বল তুলে দিলেন আভেশ খানের হাতে। তখনও পর্যন্ত ২ ওভারে যিনি দিয়েছেন ১৯ রান। আইপিএলে এই ধরনের পরিস্থিতিত বোলিং করার অভিজ্ঞ আছে ২৫ বছর বয়সী এই পেসারের। তবে এটি তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ, চাপই ভিন্ন। জাতীয় দলের হয়ে তার মাত্র দশম টি-টোয়েন্টি এটি।
চমকপ্রদ কিছু করতে পারেননি আভেশ। চাপের কারণেই হয়তো, প্রথম বলটি করে বসেন ‘নো বল।’ ফ্রি হিট পেয়ে পরের বলটি ছক্কায় ওড়ান ডেভন টমাস। পরের বলেই চার। ব্যস, খেলা শেষ!
ম্যাচ শেষে প্রশ্নটি অবধারিতভাবেই এসে গেল, কেন আভেশকে বেছে নিলেন রোহিত। সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক বললেন, বৃহত্তর ছবিতে তাকিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“পুরো ব্যাপারটিই হলো এই ছেলেদের সুযোগ করে দেওয়া। আমরা সবাই জানি, ভুবনেশ্বর কী করতে পারে আমাদের জন্য। অনেক বছর ধরেই সে করে আসছে। কিন্তু আভেশ, আর্শদিপ বা এই ধরনের ছেলেদের যদি সুযোগ না দেওয়া হয়, তারা কখনোই বুঝবে না ভারতের হয়ে ডেথ ওভারে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন।”
“আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হয়ে তারা এটা করে আসছে ভালোভাবেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্ন ব্যাপার। এই ধরনের ম্যাচেই দেখে নিতে হয়, ওরা কীভাবে সাড়া দেয় এমন পরিস্থিতিতে। একটি ম্যাচেরই ব্যাপার। আমার মনে হয় না আমাদের বা এই ছেলেদের অস্থির হওয়ার কিছু আছে। ওদের স্কিল আছে, প্রতিভা আছে। এখন স্রেফ ওদের পাশে থাকা এবং সঠিক সুযোগটি দেওয়ার ব্যাপার।”