গতির তাণ্ডবে হইচই ফেলে দেওয়া পেসারকে চোটাঘাত থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে তার আইপিএল দল।
Published : 09 Apr 2024, 12:29 PM
তুমুল গতির যেমন উথাল-পাথাল রোমাঞ্চ তেমনি আছে প্রবল শঙ্কাও। গতিময় বোলারদের শরীরের ওপর দিয়ে যে ধকল যায়, চোট তাদের নিত্য সঙ্গী হয়েই থাকে। মায়াঙ্ক ইয়াদাভকে নিয়েও এখন সেই ভয় মাথাচাড়া দিচ্ছে। আইপিএলে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে চোট নিয়ে। ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে’ একেবারে শেষ করে না দিতে চাই বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে তার আইপিএল দল লাক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস।
গত রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে স্রেফ এক ওভার বল করেই মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক। তাকে নিয়ে তাই কৌতূহলও জমতে থাকে অনেক। এবারের আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক কিংবা আলোচিত অধ্যায় তো তিনিই।
আগের দুই ম্যাচেই তিনি গতির আলোয় ঝকমকে হয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেন তিনি আইপিএলের মঞ্চে। ১৫৫-১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল করে তোলপাড় ফেলে দেন। শুধু গতিই নয়, স্কিল ও কার্যকারিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন ম্যাচ-সেরা হয়ে। তাকে এমনকি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
তবে ক্রিকেট ইতিহাসের সব এক্সপ্রেস বোলারদেরই চোটের সঙ্গে ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত সখ্য। মায়াঙ্কের ছোট্ট ক্যারিয়ারেও চোটের থাবা সইতে হয়েছে বেশ কিছু। গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে এক ওভার করে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর আবার শঙ্কাটা ফিরে আসে। সেই ওভারটিতে তার গতি আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় ছিল কম এবং ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে লাক্ষ্নৌর অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া বলেছিলেন, মায়াঙ্কের চোট গুরুতর নয় বলেই আপাতত মনে হচ্ছে তাদের কাছে। একই কথা বললেন এবার লাক্ষ্নৌর প্রধান নির্বাহী ভিনোদ বিশ্ট। তবে ২১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারকে সাবধানতায় সামলানোর পরিকল্পনা তারা করে ফেলেছেন।
“তলপেটে ব্যথা অনুভব করছিল মায়াঙ্ক। সতর্কতা হিসেবে আমরা পরের সপ্তাহে তার ওয়ার্কলোড সামলানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করি, খুব দ্রুতই তাকে মাঠে দেখা যাবে।”
যেটির মানে, সামনের অন্তত দু-একটি ম্যাচ বিশ্রামে রাখা হবে মায়াঙ্ককে। টুর্নামেন্টের পরের সময়টাতেও তার থকল কমাতে বিশেষ নজর রাখা হবে দল থেকে।