আগের দিনের সেঞ্চুরি ছাড়ানো ইনিংসকে আরও এগিয়ে নিলেন সাদমান ইসলাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে উপহার দিলেন প্রথম শ্রেণিতে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের দেখা পেলেন মার্শাল আইয়ুবও। তাদের চমৎকার দুটি ইনিংসে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ফাইনালে বিশাল স্কোর গড়ল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল।
কক্সবাজারে বিসিবি মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে রোববার ৫ উইকেটে ৫০০ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণাঞ্চল। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল।
দলকে বিশাল সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে ২৪৬ রান করেন সাদমান। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৪৮ বলের ইনিংসটি সাজান ৩ ছক্কা ও ২৯ চারে। প্রথম শ্রেণিতে তার আগের সেরা ছিল ১৮৯ রান, ২০১৮ সালে জাতীয় লিগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর হয়ে করেছিলেন।
ছয়ে নেমে ৯ চারে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। ৬ চারে ৬১ রান করেন দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ।
৩ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল শুরুতেই উইকেট হারায়। আগের দিনের ৫৫ রানের সঙ্গে ৬ রান যোগ করতেই ফজলে মাহমুদ কট বিহাইন্ড হন মুশফিক হাসানের বলে। ভাঙে সাদমানের সঙ্গে তার ১৫৪ রানের জুটি।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন সাদমান ও মার্শাল। প্রথম সেশন পার করে দেন তারা অনায়াসে। ১৩০ রান নিয়ে এদিন খেলতে নামা সাদমান দ্বিতীয় সেশনে পূর্ণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি, ৩৯৪ বলে। কিছুক্ষণ পর মার্শাল পঞ্চাশে পা রাখেন ১৪১ বলে।
তাদের জুটি দেড়শ পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে আরও। এই দুইজনের প্রতিরোধ দ্বিতীয় সেশনেও ভাঙতে পারেনি মধ্যাঞ্চল। তৃতীয় সেশনের শুরুতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শাল, ১৯৭ বলে।
কিছুক্ষণ পর সাদমানকে কট বিহাইন্ড করে ২১৮ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলীয় রান পাঁচশ স্পর্শ করলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল।
শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে মধ্যাঞ্চলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি সৌম্য সরকার ও আব্দুল মজিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৩৪/৩) ১৬১.৪ ওভারে ৫০০/৫ ডিক্লে. (সাদমান ২৪৬, ফজলে মাহমুদ ৬১, মার্শাল ১২০*, মইন ১৮*; আবু হায়দার ১৯-৪-৭০-১, মুশফিক ২১-৩-৭০-১, শুভাগত ২৩-৪-৬৫-০, শরিফুল্লাহ ২৯-৭-৭০-০, মুরাদ ৫১.৪-১০-১৪৭-২, মোসাদ্দেক ৯-৪-১৮-০, সৌম্য ১.২-০-৭-০, আরিফুল ৩.৪-০-১৪-০, মিঠুন ৪-০-২৩-১)
বিসিবি মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১ ওভারে ৩৩/০ (মজিদ ১৬*, সৌম্য ১৫*; খালেদ ৬-১-২৫-০, মইন ৩-০-৩-০, নাজমুল অপু ২-১-৪-০)