সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি বড় ম্যাচে ১৯তম ওভারে খরুচে বোলিংয়ে দলকে আশাহত করেছেন এই পেসার।
Published : 21 Sep 2022, 11:31 AM
নতুন বলে বরাবরই বেশ কার্যকর ভুবনেশ্বর কুমার। কন্ডিশন ও উইকেট সুইং-সিম সহায়ক হলে তো তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার সব গড়বড় হয়ে যাচ্ছে শেষ সময়ে গিয়ে। ১৯তম ওভারে ম্যাচের পর ম্যাচ খরুচে বোলিংয়ে তিনি ডেকে আনছেন দলের হার। অভিজ্ঞ পেসারের এমন পারফরম্যান্সে শঙ্কার বড় কারণ দেখছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার।
লড়াই জমে ওঠা ম্যাচে ১৯তম ওভারটিকেই সাধারণত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া ওভার বলে ধরে নেওয়া হয়। দলের সেরা কিংবা অভিজ্ঞ বোলারকে বেশিরভাগ সময় বেছে নেওয়া হয় এই সময়ে। কিন্তু এখানেই ভারতকে বারবার হতাশ করছেন ভুবনেশ্বর।
সম্প্রতি এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে শেষ দিকে খেই হারান তিনি। সেই ধারা থেকে বের হতে পারেননি তিনি মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। এই তিন ম্যাচেই ১৯তম ওভারটি করেন তিনি, রান দেন সব মিলিয়ে ৪৯।
মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মঙ্গলবার ১৯তম ওভারটি যখন করতে আসেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন তখন ২ ওভারে ১৮ রান। ভুবনেশ্বর ১৯তম ওভারে প্রথম তিন বলে কেবল ৪ রান দিলেও পরের তিন বলেই হজম করেন বাউন্ডারি। ওভার থেকে রান আসে ১৬। খেলা মূলত শেষ ওখানেই।
কদিন আগে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। প্রথম ৩ ওভারে স্রেফ ২১ রান দেওয়া ভুবনেশ্বরের হাতে তখন বল তুলে দেন অধিনায়ক। সেই ওভারে খুশদিল শাহ ও আসিফ আলি পাকিস্তানকে এনে দেন ১৯ রান। ম্যাচের উত্তেজনা অনেকটা শেষ ওই ওভারেই।
দুই দিন পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও অনেকটা একই অবস্থা। শেষ ২ ওভারে সেদিন লঙ্কানদের প্রয়োজন পড়ে ২১ রানের। ভুবনেশ্বর প্রথম ৩ ওভারে রান দেন মাত্র ১৬। কিন্তু তার করা ১৯তম ওভারে দাসুন শানাকা ও ভানুকা রাজাপাকসা রান নেন ১৪।
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলারের এমন উদার বোলিংয়ে প্রত্যাশার ছবি ফুটে উঠছে না বলেই স্পোর্টস টুডে-কে বললেন গাভাস্কার।
“ভুবনেশ্বর কুমারের মতো একজনের কাছে যখন দলের প্রত্যাশা অনেক, তখন সে প্রতি ম্যাচেই খরুচে বোলিং করছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮ বলে সে ৪৯ রান দিয়েছে। বলপ্রতি প্রায় ৩ রান করে!”
“তার মতো অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের একজন সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ রান দিলে মেনে নেওয়া যেত। এটা এখন বড় দুর্ভাবনার জায়গা।”
রাতের ম্যাচে অনেক সময় শিশিরের কারণে বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে ওঠে। তবে এশিয়া কাপের ওই দুই ম্যাচে শিশির পড়েনি, গাভাস্কার শিশিরের ছোঁয়া দেখেননি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মোহালিতেও।
“আমার মনে হয় না খুব একটা শিশির ছিল মাঠে। বোলার বা ফিল্ডারদের তো দেখিনি তোয়ালে দিয়ে বল মুছতে বা হাত শুকাতে। এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমরা ভালো বোলিং করিনি। বিশেষ করে ১৯তম ওভার এখন সত্যিকারের দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”