সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ১৬৫ রান অনায়াসেই টপকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Published : 14 Aug 2023, 01:32 AM
দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেও রোমারিও শেফার্ড। অবদান রাখলেন দুই স্পিনার আকিল হোসেন ও রোস্টন চেইসও। দেড়শ ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারল না ভারত। চমৎকার ফিফটিতে বাকিটা সারলেন ব্র্যান্ডন কিং। টি-টোয়েন্টিতে টানা দুটি সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লডারহিলে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের ১৬৫ রান তারা ছাড়িয়ে গেছে ১২ বল বাকি থাকতেই।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল রভম্যান পাওয়েলের দল। পরের দুই ম্যাচ জিতে সমতা ফেরায় ভারত। শেষ ম্যাচে জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল ক্যারিবিয়ানা।
৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার শেফার্ড। তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৫৫ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে অপরাজিত ৮৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে দলের জয়কে সঙ্গে নিয়ে ফেরেন কিং।
রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একটি করে ছক্কা ও চার মেরেই বিদায় নেন কাইল মেয়ার্স।
ক্রিজে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনটি ছক্কা মেরে সুব বেঁধে দেন নিকোলাস পুরান। দারুণ সঙ্গত করেন কিং। শতরানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
তাদের থামানোর কোনো পথ যেন পাচ্ছিলেন না ভারতীয় বোলাররা। দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে পঞ্চাশ আসে ২৯ বলে, একশ হয় ৬৭ বলে।
পুরানের বিদায়ে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। বিস্ফোরক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে চার ছক্কা ও এক চারে করেন ৪৭ রান।
শাই হোপকে (১৩ বলে ২২) নিয়ে বাকিটা সারেন কিং।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। আগের দিন দারুণ দৃঢ়তা দেখানো ইয়াশাসভি জয়সওয়াল ও শুবমান গিল যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলেন তিলাক ভার্মা (১৮ বলে ২৭)। দারুণ ফিরতি ক্যাচ নিয়ে বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন চেইস।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। অন্য প্রান্তে তাকে তেমন একটা সঙ্গ দিতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া ও আকসার প্যাটেল। তিনজনই ফেরেন দুই অঙ্ক ছুঁয়ে।
স্যামসন ও পান্ডিয়াকে বিদায় করার পর আর্শদিপ সিং ও কুলদিপ ইয়াদাভতে দ্রুত ফেরান শেফার্ড। এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় বড় শট খেলতে থাকেন সুরিয়াকুমার। তবে খুব একটা সফল হননি। পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিনি যেতে পারেননি বেশিদূর। ৪৫ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারে তিনি করেন ৬১ রান।
কিংয়ের ফিফটি ও পুরানের সঙ্গে তার শতরানের জুটিতে ভারতের সংগ্রহ সহজেই পেরিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো জেতে টানা দুটি সিরিজ। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তারা জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৬৫/৯ (জয়সওয়াল ৫, গিল ৯, সুরিয়াকুমার ৬১, তিলাক ২৭, স্যামসন ১৩, পান্ডিয়া ১৪, আকসার ১৩, আর্শদিপ ৮, কুলদিপ ০, চেহেল ০*, মুকেশ ৪*; আকিল ৪-০-২৪-২, মেয়ার্স ১-০-৪-০, হোল্ডার ৪-০-৩৬-২, জোসেফ ৩-০-৪১-০, চেইস ৪-০-২৫-১, শেফার্ড ৪-০-৩১-৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮ ওভারে ১৭১/২ (কিং ৮৫*, মেয়ার্স ১০, পুরান ৪৭, হোপ ২২*; পান্ডিয়া ৩-০-৩২-০, আর্শদিপ ২-০-২০-১, কুলদিপ ৪-০-১৮-০, চেহেল ৪-০-৫১-০, মুকেশ ১-০-১০-০, তিলাক ২-০-১৭-১, আকসার ১-০-৮-০, জয়সওয়াল ১-০-১১-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-২ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রোমারিও শেফার্ড
ম্যান অব দা সিরিজ: নিকোলাস পুরান