২০ টেস্ট খেলার পরও ব্যাটিং গড় ৩০ থাকলে দলে জায়গা পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার, বলছেন দিনেশ কার্তিক।
Published : 29 Dec 2023, 11:06 AM
ভারতের নতুন প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুবমান গিলকে অনেকে মনে করেন তিন সংস্করণের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তবে সীমিত ওভারে পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও টেস্টে এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। এখানেই তার দিকে আঙুল তুলছেন দিনেশ কার্তিক। ভারতের এই কিপার-ব্যাটসম্যানের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পরের টেস্টে ব্যর্থ হলে গিলের জায়গা নড়বড়ে হয়ে পড়বে প্রবলভাবেই।
গিল এখনও পর্যন্ত অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছেন ওয়ানডেতে। ৪৪ ম্যাচ খেলে ৬ সেঞ্চুরিতে তার রান ২ হাজার ২৭১। ব্যাটং গড় ৬১.৩৭, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৪৬। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটাও ভালো করেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচ খেলে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি করেছেন। ব্যাটিং গড় এখানে ২৬, স্ট্রাইক রেট ১৪৫.১১।
তবে ভারতের হয়ে সাদা পোশাকে তিনি এখনও পর্যন্ত তিনি ততটা উজ্জল নন। ১৯ টেস্ট খেলে এখনও হাজার রান পূর্ণ করতে পারেননি। ব্যাটিং গড় মোটে ৩১.০৫। ৩৫ ইনিংস খেলে ৬ বার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন, এর মধ্যে দুটিকে রূপ দিতে পেরেছেন শতরানে।
গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদাবাদে সেঞ্চুরি করেছেন। সবশেষ ১২ ইনিংসে কেবল সেটিতেই তিনি ৩০ ছুঁতে পেরেছেন।
সীমিত ওভারের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি ইনিংস ওপেন করছিলেন অভিষেক থেকেই। তবে গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে তিন নম্বরে খেলছেন তিনি। ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তখন বলেছিলেন, নিজে থেকেই তিন নম্বরে ব্যাট করার আগ্রহের কথা জানান গিল। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত পজিশনে এখনও পর্যন্ত ৫ ইনিংস খেলে একবারও ৩০ ছুঁতে পারেননি তিনি।
সবশেষ ব্যর্থতা সদ্য সমাপ্ত সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ২ রান করে আউট হন তিনি। পরের ইনিংসে ৬ চারে ২৬ রান করেন। তবে খুব একটা স্বস্তিতে খেলতে পারেননি। বরং মনে হচ্ছিল, কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জে মরিয়া হয়েই ব্যাট চালাচ্ছেন তিনি।
ম্যাচশেষে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এ আলোচনায় কার্তিক বললেন, জায়গা ধরে রাখতে হলের পরের টেস্টে গিলের পারফর্ম করা জরুরি।
“এখানে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন শুবমান গিলের সামনে। লোকের প্রত্যাশা সে পূরণ করতে পারেনি। আমার ধারণা, সে নিজেও জানে যে, ২০ টেস্ট খেলে ফেলার পর মধ্য তিরিশ বা তিরিশের শুরুর দিকে গড় যদি থাকে, তাহলে দলে থাকলে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। পরের টেস্ট ম্যাচে দারুণ কিছু না করলে তার জায়গা নিয়ে নিশ্চিতভাবেই প্রশ্ন উঠবে।”
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানের জোয়ার বইয়ে দেওয়া সরফরাজ খানের কথা মনে পড়ছে কার্তিকের। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক পারফরমার রাজাত পাতিদারের কথাও বললেন তিনি।
“একমাত্র যে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে এখানে আমরা মিস করছি, সে হলো সরফরাজ খান। সে যতটা মনে করছে, তার চেয়েও দ্রুত সময়ে সে টেস্ট স্কোয়াডে আসবে বলেই মনে করি আমি। এছাড়া আর মিডল অর্ডারে তেমন কেউ আর নেই দলে আসার মতো। তবে রাজাত পাতিদারও আছে, খুব শিগগিরই যার দিকে নজর পড়তে পারে।”
৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে সরফরাজের খানের গড় ৭১.৭০। একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিসহ ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান শতরান করেছেন তিনি ১৩টি।
৫২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে পাতিদারের সেঞ্চুরি ১১টি, ব্যাটিং গড় ৪৫.৭২। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই কদিন আগে ওয়ানড অভিষেক হয়েছে ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের।