তাইবুর রহমানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সঙ্গে শফিকুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহানের কার্যকরী অবদানে টানা তৃতীয় জয় পেল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
Published : 15 Apr 2024, 05:39 PM
আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখলেন তাইবুর রহমান। দারুণ সঙ্গ দিয়ে মিডল অর্ডারে ধস নামালেন শফিকুল ইসলাম। বেশি দূর যেতে পারল না পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। লক্ষ্য বড় না হলেও নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দায়িত্ব নিয়ে তাইবুরের সঙ্গে বড় জুটিতে দলের টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে সোমবার ২০৬ রানের লক্ষ্য ২৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি।
দশ ম্যাচে শেখ জামালের অষ্টম জয় এটি। পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান করছে তারা। সমান ম্যাচে স্রেফ এক জয়ে নিচ থেকে দুই নম্বরে পারটেক্স।
বল হাতে ১০ ওভারে দুই মেইডেনসহ স্রেফ ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাইবুর। পরে সাত নম্বরে নেমে খেলেন অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস। ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এছাড়া ৩২ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার শফিকুল। চাপের মুখে ৭৫ বলে ৭৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন সোহান।
রান তাড়ায় হতাশ করে শেখ জামালের টপ-অর্ডার। অল্পেই ফেরেন সাইফ হাসান, রবিউল ইসলাম, ফজলে মাহমুদরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত আলি। তিনি আউট হলে ১০০ রানে ৪ উইকেট হারায় শেখ জামাল।
পরে ইয়াসির আলি চৌধুরি ১ রান করে ফিরলে তাদের বিপদ আরও বাড়ে। তবে সেটিকে বড় হতে দেননি সোহান ও তাইবুর। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ১২১ বলে ১০৫ রান।
চলতি লিগে চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন সোহান। ৬৩ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন তাইবুর।
ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সম্ভাবনাময় শুরু করেন পারটেক্সের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই। তাদের প্রত্যেকে দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও চল্লিশ ছুঁতে পারেননি কেউই। ফলে বড় হয়নি দলের পুঁজি।
পাওয়ার প্লেতে কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মুনিম শাহরিয়ার ও আজমির আহমেদ। একাদশ ওভারে আজমিরকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাইবুর। পরের ওভারে মুনিমকেও আউট করেন বাঁহাতি স্পিনার।
পরে ছোট ছোট জুটি হলেও সেগুলোকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি শফিকুল। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন আহরার আমিন। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনে ৩টি উইকেটও নেন সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এই ক্রিকেটার।
এছাড়া জাহিদুজ্জামান ৩২, তানবির হায়দার ৩০ রান করলে কোনোমতে দুইশ পার করে পারটেক্স। যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৮.২ ওভারে ২০৫ (মুনিম ১৭, আজমির ২৫, মিজানুর ২০, জাহিদুজ্জামান ৩২, তানবির ৩০, রাকিব ২১, আহরার ৩৫, মুক্তার ৫, গাফফার ১৪, রাকিবুল ১, আসাদুজ্জামান ০*; শফিকুল ৯-১-৩২-৪, ইয়াসিন ৬-০-৩৫-১, টিপু ৯.২-০-৪৭-১, তাইবুর ১০-২-১৯-৩, সাইফ ৬-০-২৪-০, রবিউল ৮-০-৪৬-১)
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৬ ওভারে ২০৮/৫ (সাইফ ১৭, সৈকত ৪১, রবিউল ২০, ফজলে মাহমুদ ১২, সোহান ৭৬*, ইয়াসির ১, তাইবুর ৩৯*; রাকিবুল ১০-২-৩৮-০, মুক্তার ৮-০-৩৫-১, আহরার ১০-০-৪২-৩, আসাদুজ্জামান ৫-০-৩৩-০, তানবির ৯-১-৪১-১, গাফফার ৩-১-১১-০, রাকিব ১-০-৮-০)
ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাইবুর রহমান