গত মাসের সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের অ্যামি হান্টার।
Published : 13 Feb 2024, 04:52 PM
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরুতেই আলো ছড়িয়ে দারুণ এক স্বীকৃতি পেয়েছেন শামার জোসেফ। আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রথমবার জায়গা পেয়েই বাজিমাত করেছেন ক্যারিবিয়ান এই পেস সেনসেশন। জিতে নিয়েছেন জানুয়ারি মাসের সেরার পুরস্কার।
গত মাসের সেরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারের নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। লড়াইয়ে শামার পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের অলিভার পোপ ও অস্ট্রেলিয়ার জশ হেইজেলউডকে।
মেয়েদের ক্রিকেটে জানুয়ারি মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের অ্যামি হান্টার। এই ব্যাটার হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি ও অ্যালিসা হিলিকে।
জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন গায়ানার দুর্গম গ্রাম থেকে উঠে আসা শামার। অ্যাডিলেইডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই গড়েন উইকেট নেওয়ার কীর্তি, সেটাও আবার সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন স্টিভেন স্মিথের। এরপর আরও চার শিকার ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি।
চমৎকার ওই পারফরম্যান্সে আলোচনায় উঠে আসা এই পেসার ব্রিজবেনে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে মেলে ধরেন আরও ভালোভাবে। পায়ের অগ্রভাগের চোটের সঙ্গে লড়াই করে, ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ বোলিং উপহার দিয়ে নেন ৭ উইকেট। রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং একাই ধসিয়ে দিয়ে দলকে এনে দেন ৮ রানের অবিশ্বাস্য এক জয়।
২১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট জয়ের ম্যাচে সেরার পুরস্কার জেতেন শামার। ১৭.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও তিনি।
ওই সিরিজের পর চোটের কারণে আর মাঠে নামতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী শামার। তবে ওই দুই টেস্টের পারফরম্যান্সে মাস সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।
হান্টার মাস সেরা হয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে। আইরিশ এই ব্যাটার হারারেতে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টিতে খেলেন চমৎকার তিনটি ইনিংস।
প্রথম ম্যাচে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেন অপরাজিত ৭৭ রান। পরেরটিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।