ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ডের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ দেবেন বাংলাদেশের কিউরেটরদের, হবে কর্মশালাও।
Published : 19 Sep 2022, 06:48 PM
ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ডের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট ইয়ান ম্যাকেন্ড্রাই এখন ঢাকায়। ১১ বছর ধরে নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠগুলির দেখভাল করছেন তিনি। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠগুলো ঘুরে দেখবেন তিনি। পরামর্শ দেবেন এদেশের কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের। পাশাপাশি তিনি পরিচালনা করবেন দুই দিনের একটি কর্মশালা।
বাংলাদেশে ক্রিকেট মাঠের উইকেট ও আউটফিল্ডের উন্নতির চেষ্টায় বিসিবির উদ্যোগে ঢাকায় এসেছেন ম্যাকেন্ড্রাই। মঙ্গলবার থেকে তিন দিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট ঘুরে পরিদর্শন করবেন বিভিন্ন ভেন্যু।
বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের ম্যানেজার আব্দুল বাতেন সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, নিউ জিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞের কর্মশালায় রাখা হবে মাঠ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
“নিউ জিল্যান্ডের হেড অফ টার্ফ ম্যানেজমেন্ট খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তি। নিউজিল্যান্ডের সবগুলো মাঠ তিনি দেখাশোনা করেন। ব্যবহারিক এবং জ্ঞানের দিক থেকেও তিনি বেশ ভালো। মাঠগুলি পরিদর্শন শেষে আমাদের ওয়ার্কশপ হবে ২৩ এবং ২৪ তারিখ।”
“সারা বাংলাদেশ থেকে আমাদের যে কিউরেটর, সহকারী কিউরেটর এবং হেড গ্রাউন্ডসম্যান আছেন, যারা উইকেটগুলোর সাথে সম্পৃক্ত, যারা এই উইকেটগুলো তৈরি করেন সারা বছর ধরে, তাদের সাথে আলোচনা করবেন এই দুই দিন।”
বিসিবির গ্রাউন্ডস ম্যানেজার জানালেন, বাংলাদেশের মাঠগুলো ঘুরে দেখে এই দেশের বাস্তবতায় পরামর্শ দেবেন নিউ জিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ।
“আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিউ জিল্যান্ড যে ধরনের উইকেট, আউটফিল্ড, ইকুইপমেন্ট তৈরি করে, সেসব কিছুর সঙ্গে বাংলাদেশে আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করি, সেটার তুলনা করব আমরা। উনি মাঠগুলো পরিদর্শন করলে বাস্তব একটি অভিজ্ঞতাও হবে, আমাদের সঙ্গে তা আলোচনা করবেন। নিউ জিল্যান্ডের উইকেট কীভাবে তৈরি করে, তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত কোর্স রেখেছি দুই দিনের কর্মশালায়।”
মাঠের উন্নতিতে নিউ জিল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ আনার কারণ ব্যাখ্যা করলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার।
“বগুড়াতে আমরা উইকেটগুলো নিউ জিল্যান্ডের আদলেই নিয়ন্ত্রণ করছি। নিউ জিল্যান্ডে যে ইনডোর প্র্যাকটিস করে, সারা বছর বৃষ্টির সময়ও প্র্যাকটিস করার ব্যবস্থা সেখানে আছে। আমরা মিরপুর ইনডোর একাডেমি মাঠেও সেরকম ব্যবস্থা নেব। মোটামুটি এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।”
“আপনারা দেখবেন নিউ জিল্যান্ডে বর্ষাকালেও তারা যে প্র্যাকটিস করতে পারে। শেড থাকে, প্রয়োজনে তা সরে যায়, বন্ধ হয়ে যায়। এরকম ব্যবস্থা থাকলে সারাবছরই ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করতে পারবে। সেই পদ্ধতিটি শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশে। এটি মূলত একটি কানাডিয়ান কোম্পানি তারা নিউ জিল্যান্ডে ব্যবস্থা করেছে। সেই একই কোম্পানি থেকে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশে সেটি আনার ব্যবস্থা করছি।”