আনকোরা অধিনায়ক ও দল নিয়ে নিউ জিল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা

এসএটোয়েন্টির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় প্রথম পছন্দের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।

ঘটনাক্রমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারই অধিনায়ক হিসেবে খেলতে যাচ্ছেন নিল ব্রান্ড।

টেস্ট ম্যাচ তো দূরের কথা, জাতীয় দলের হয়ে এর আগে কখনোই খেলেননি নিল ব্রান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারে নতুন মুখ এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বেই নিউ জিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা!

কেবল অধিনায়কত্বেই নয়, পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াডই চমকে ঠাসা। ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডের মাত্র তিন জন আছেন নিউ জিল্যান্ড সফরের এই দলে- কিগান পিটারসেন, ডেভিড বেডিংহ্যাম ও জুবাইর হামজা।

ভারত সিরিজের দলে শুরুতে আবার ছিলেন না হামজা। প্রথম টেস্ট শুরুর দিন নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোট পাওয়ার পর দলে আসেন তিনি।

এসএ টোয়েন্টির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিউ জিল্যান্ড সফরে প্রথম পছন্দের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।

আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হবে এসএ টোয়েন্টি আর নিউ জিল্যান্ডে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। তাই সফরে পাওয়া যাবে না বাভুমা, এইডেন মার্করাম, ট্রিস্টান স্টাবস, জেরল্ড কুটসিয়া, কাইল ভেরেইনা, মার্কো ইয়ানসেন, নান্দ্রে বার্গার, ভিয়ান মুল্ডার, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও কেশব মহারাজকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে না থাকলেও ভারত সিরিজ শেষে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছেন ডিন এলগারকে।

ডারবান সুপার জায়ান্টসের জন্য ধাক্কা খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ কনরাড শুক্রির একটি পরিকল্পনা। গত বৃহস্পতিবারই টনি ডি জর্জিকে দলে নেয় এসএটোয়েন্টির দলটি, যাকে আসছে সফরে ওপেনিংয়ে খেলানোর কথা ভেবেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ।

১৪ সদস্যের দলের কেবল সাত জন টেস্ট খেলেছেন। সব মিলিয়ে কেবল ৫০ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে সফরে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৭ থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৫ টেস্ট খেলা পেসার ডুয়ান অলিভিয়ের দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। কিগান পিটারসেন খেলেছেন ১২ টেস্ট।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রের অভিযান দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু করেছে জয় দিয়ে। বক্সিং ডে টেস্টে ভারতকে ইনিংস ও ৩২ রানে হারিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর করবে তারা। দেশের মাটিতে ভারতের পর খেলবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রোটিয়াদের প্রতিটি সিরিজ দুই ম্যাচের।

পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে সফরে যাওয়ার আশায় নিউ জিল্যান্ড সফর পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ওই চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। এখন সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়াই পয়েন্ট পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে কনরাডকে। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ।

“যে খেলোয়াড়দের এই সফরের দলে নেওয়া হয়েছে, নিউ জিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য তাদের আছে। আমাদের পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। যখন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আমরা প্রথম টেস্টে নামব, তখন ওরা ঠিক কাজটাই করবে।”

“ছেলেদের বেশিভাগ সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছে। আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কী করতে পারে, সেখানে তারা সেটা দেখিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, এই অভিজ্ঞতা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সামর্থ্যের পরীক্ষা নেওয়া সিরিজে ওদের ভালো অবস্থানে রাখবে।”

ভারত টেস্টর জন্য দলে যোগ দেওয়া ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্স ছাড়া বাকি সব কোচকে সফরে পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান ও বর্তমান ডলফিন্স কোচ ইমরান খান নিউ জিল্যান্ডে ব্যাটিং পরামর্শ হিসেবে কাজ করবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দল: নিল ব্র্যান্ড (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহ্যাম, রুয়ান দু সোয়াত, ক্লাইড ফোরটান, জুবাইর হামজা, টিশেপো মোরেকি, মিহালি এমপোংওয়ানা, ডুয়ান অলিভিয়ের, ডেন প্যাটারসন, কিগান পিটারসেন, ডেন পিট, রায়নার্ড ভন টন্ডার, শন ফন বার্গ, খায়া জন্ডো।