মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১২৮ রানে পিছিয়ে আয়ারল্যান্ড।
Published : 05 Apr 2023, 10:10 AM
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এক সময়ে ৩ উইকেটে ১২২ রানের ভালো অবস্থানে ছিল আয়ারল্যান্ড। তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে সেখান থেকে সফরকারীদের ২১৪ রানে থামায় বাংলাদেশ।
দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের রান ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪। ২৩ বলে তিন চারে ১২ রানে খেলছেন মুমিনুল হক। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ১৮০ রানে।
একটি উইকেট নিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়ার, অন্যটি অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে):
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০ ওভারে ৩৪/২ (তামিম ২১, শান্ত ০, মুমিনুল ১২*; অ্যাডায়ার ৪-২-৩-১, হিউম ৩-০-১৮-০, ম্যাকব্রাইন ৩-১-১৩-১)
দিনের প্রথম বলেই চমৎকার এক শটে বাউন্ডারিতে শুরু করেছেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। অফ স্টাম্পের বাইরে মার্ক অ্যাডায়ারের হাফ ভলি এক্সট্রা-কাভার দিয়ে অনায়াসে সীমানার বাইরে পাঠান তিনি।
১১ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৯। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
দ্বিতীয় ওভারেই জোরাল আবেদন আয়ারল্যান্ডের। সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি সফরকারীরা।
গ্রাহাম হিউমের লেগ স্টাম্পে পিচ করা ডেলিভারি ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মুমিনুল হক। বল তার ব্যাট ঘেঁষে আঘাত হানে প্যাডে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগেছে। তাই নষ্ট হয় আয়ারল্যান্ডের রিভিউ।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯ রান। এখনও ১৭৫ রানে পিছিয়ে তারা।
দিনের শুরুতেই সাফল্য পেল আয়ারল্যান্ড। লেগ স্টাম্প তাক করে করা এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন মুমিনুল হক।
গ্রাহাম হিউমের করা আগের ওভারে একই ধরনের একটি বলে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। বলে কোনোমতে ব্যাট ছোঁয়াতে পেরেছিলেন মুমিনুল। অ্যাডায়ারের বল শাফল করে ফ্লিক করতে গিয়ে সেটাও পারেননি। উপড়ে যায় লেগ স্টাম্প!
৩৪ বলে চারটি চারে ১৭ রান করেন মুমিনুল। ক্রিজে গিয়েই প্রথম বলে চারে শুরু করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪৪।
দিনের তৃতীয় ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বোলিং করছে আয়ারল্যান্ড। চাপ সামাল দিতে লড়াই করছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন সাকিব। তবে এরপর খুব একটা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হিউমের সুইং কভার করতে বেশ কয়েকবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলেন তিনি।
অন্য প্রান্তে মুশফিককেও দিনের শুরুতে কিছুটা আড়ষ্ট দেখা যায়। তবে উইকেটে সময় কাটানোর সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন দুজনই। বিশেষ করে অফ স্পিনার অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন বোলিংয়ে আসার পর রানের গতি বাড়িয়েছেন তারা।
ম্যাকব্রাইনের প্রথম বলেই সুইপ খেলার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। সফল হননি। তবে পরের বলেই পুল করে মারেন বাউন্ডারি। ম্যাকব্রাইনের পরের ওভারে স্লগ সুইপে চার মারেন মুশফিকও।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৩ রান। আইরিশদের চেয়ে এখনও ১৪১ রানে পিছিয়ে তারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৪ বলে এসেছে ৩৩ রান।
গ্রাহম হিউম ও মার্ক অ্যাডায়ার বেশ পরীক্ষা নিচ্ছিলেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। তারা আক্রমণ থেকেই সরতেই পাল্টা আক্রমণে দ্রুত এগোচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে মোটে ৫৪ বলে।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনকে সুইপ করে চাপ মারার পর রিভার্স সুইপ করে আরেকটি বাউন্ডারির দেখা পান মুশফিক। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যানের জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ। এর আগের ওভারে কার্টিস ক্যাম্পারকে দুটি চার মারেন অধিনায়ক সাকিব।
২২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৯২। ২৭ বলে পাঁচ চারে ২৮ রানে খেলছেন সাকিব। ৩৪ বলে তিন চারে মুশফিকের রান ২১। এখনও ১২২ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
শুরুর চাপ সামলে দাপুটে ব্যাটিং শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। প্রথম ঘণ্টায় ওভারপ্রতি ৫ রানের বেশি করে তুলেছে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের জুটি রান রেট ৬ ছুঁইছুঁই।
২৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। ৪০ রানে মুমিনুল হকের বিদায়ের পর ৬৮ বলে ৬৭ রান যোগ করেছেন সাকিব ও মুশফিক। সব মিলিয়ে দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে এসেছে ৭৩ রান।
শুরুতে সাকিব-মুশফিককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন গ্রাহাম হিউম ও মার্ক অ্যাডায়ার। তবে তারা বোলিং থেকে সরার পর অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন ও কার্টিস ক্যাম্পারের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
বিরতির ঠিক আগের ওভারে ম্যাকব্রাইনকে জোড়া চার মারেন সাকিব। ওই ওভারে আসে ১২ রান। এর আগে মুশফিককও টানা দুই চার মারেন ম্যাকব্রাইনের বলে। ক্যাম্পারও এক ওভারে হজম করেন দুই চার।
ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে স্রেফ ৩৬ বলে ৭ চারে ৪১ রান করে ফেলেছেন সাকিব। মুশফিকের সংগ্রহ ৩৭ বলে ২৩ রান। তিনি মেরেছেন ৩টি চার।
টেস্টে জুটি বেধে ২২তম বার পঞ্চাশের বেশি রান যোগ করলেন এই দুজন।
চাপের সময় ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই সাকিব আল হাসান মেরেছিলেন বাউন্ডারি। অধিনায়কের শট খেলার এই ধারা চলতে থাকল এর পরও। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পথ ধরে ৪৫ বলেই স্পর্শ করলেন ফিফটি।
বেন হোয়াইটকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার মারার পর লং অন দিয়ে মারেন আরেকটি। তাতেই পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ৩১তম পঞ্চাশে। এই সময়ে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে নয়টি চার।
২৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২০। ৪৮ বলে সাকিবের রান ৫২। ৪৩ বলে তিনটি চারে ২৫ রানে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটিতে ৮০ রান এসেছে ৮৬ বলে।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। সাবলীল খেলে স্রেফ ১০৯ বলেই গড়ে ফেলেছেন ১০০ রানের জুটি।
টেস্ট ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিকের পঞ্চম শত রানের জুটি এটি। ৬৫ ইনিংসে একসঙ্গে ব্যাটিং করেছেন এই দুজন। পাঁচটি সেঞ্চুরি ছাড়াও ১৭ বার একসঙ্গে পঞ্চাশ রান যোগ করেছেন তারা।
এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে এত দিন ধরে পাঁচটি সেঞ্চুরি জুটি ছিল স্রেফ হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের। তাদের পাশে বসলেন সাকিব-মুশফিক। ৩২ ইনিংসে পাঁচটি শত রানের জুটির পাশাপাশি পাঁচবার পঞ্চাশও ছাড়িয়েছেন বাশার-জাভেদ।
দিনের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৪০ রানের সময় মুমিনুল হকের বিদায়ের পর শুরুতে কিছুটা সময় নেন সাকিব-মুশফিক। উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে শুরু করেছেন একের পর এক শট। ওভারপ্রতি সাড়ে ৫ রানের ওপরে তুলছে এই জুটি।
শত রানের জুটিতে সাকিবের অবদান ৬৩ রান। স্রেফ ৪৫ বলে ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিবের সঙ্গে জুটিতে মুশফিক করেছেন ৩৩ রান। তিনি খেলছেন ৩৪ রানে।
আগের দিন শেষ বলে তামিম ইকবালের আউট হলে দ্বিতীয় সকালে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় ওভারেই হারান সঙ্গী মুমিনুল হককে। সেই সময়ে কঠিন পরীক্ষা নেন গ্রাহাম হিউম ও মার্ক অ্যাডায়ার। দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন সময় পার করে দিয়ে মুশফিক ছুঁলেন ফিফটি, ৬৯ বলে।
হ্যারি টেক্টরের বলে নিজের প্রিয় শট সুইপে চার মেরে ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি স্পর্শ করেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সময় গড়ানোর সঙ্গে রানের গতি বাড়াচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে চার মেরেছেন রিভার্স সুইপেও। বেরিয়ে এসে অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনকে মেরেছেন ছক্কা।
৩৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৬৮। ৭২ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানে খেলছেন মুশফিক। ৭৩ বলে ১২ চারে সাকিবের রান ৭৩। দুই জনের জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ১২৮ রান।
দিনের তৃতীয় ওভারেই মিলেছিল উইকেট। মিলেছিল বাংলাদেশকে চেপে ধরার সুযোগ। গ্রাহাম হিউম ও মার্ক অ্যাডায়ার সেটা করেছিলেনও। কিন্তু তারা আক্রমণ থেকে সরে যেতেই সাকিব আল হাসানের পাল্টা আক্রমণে আলগা হয়ে যায় চাপ। শুরুতে একটু সময় নেওয়া মুশফিকুর রহিমও শট খেলতে শুরু করায় উল্টো এখন আয়ারল্যান্ডই চাপে।
দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৩৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে স্বাগতিকরা যোগ করেছে ১৩৬ রান। এর মধ্যে সাকিব ও মুশফিকের জুটিতে ১৪৬ বলে এসেছে ১৩০ রান।
আয়ারল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক ছিলেন না তারা। প্রচুর আলগা বল পেয়ে সেগুলো কাজে লাগান সাকিব ও মুশফিক।
প্রথম বলে চার মেরে শুরু করা সাকিব ৭৪ বলে ১২ চারে খেলছেন ৭৪ রানে। ৭৭ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ৫৩ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক।
আয়ারল্যান্ডকে ২১৪ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এখন মাত্র ৪৪ রানে পিছিয়ে।
সাবলীল গতিতে এগিয়ে যাওয়া জুটি ভাঙল সাকিব আল হাসানের বিদায়ে। কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের আপাত সাদামাটা এক ডেলিভারিতে ভাঙল ১৮৮ বল স্থায়ী ১৫৯ রানের জুটি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বল অফে অনায়াসেই খেলতে পারতেন সাকিব। তা না করে তিনি ঘুরাতে চেয়েছিলেন লেগে, ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লরকান টাকারের গ্লাভসে।
৯৪ বলে ১৪ চারে ৮৭ রান করেন সাকিব।
কার্টিস ক্যাম্পারের করা পরের ওভারে মুশফিকুর রহিমের সিঙ্গেলে দুইশ স্পর্শ করে বাংলাদেশের রান। মুখোমুখি প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেন লিটন দাস।
ওভার থ্রো থেকে পাঁচ পান মুশফিক। ওভারের শেষ দুই বলে দুটি চারে দলে লিড এনে দেন লিটন! ওভার থেকে আসে ১৯ রান।
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২১৮।
সাকিবের আল হাসানের বিদায়ের পর আয়ারল্যান্ডকে চেপে বসতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুজন। এরই মধ্যে জুটিতে যোগ করেছেন ৫০ রান।
সানগ্লাস পরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন লিটন। কার্টিস ক্যাম্পারের ওই ওভারে দুটি বাউন্ডারি মারেন কিপার-ব্যাটসম্যান। ওভার থ্রো থেকে একটি চারসহ মোট ১৯ রান পায় বাংলাদেশ।
দারুণ শুরুর পর ওয়ানডে ঘরানায় জুটি এগিয়ে নিয়েছেন মুশফিক-লিটন। জুটির পঞ্চাশ করতে লেগেছে স্রেফ ৫৬ বল। মুশফিকের অবদান ২৯ রান, লিটন ২১।
জুটির পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই লিটনের চারে আড়াইশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৫৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৩৯ রানে।
দশম সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে ৯৮ রানে অপরাজিত মুশফিক। লিটন খেলছেন ২৫ রানে।
মার্ক অ্যাডায়ারের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপ আর কিপারের মাঝ দিয়ে চলে গেল সীমানায়! সৌভাগ্যের বাউন্ডারিতে মুশফিকুর রহিম পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কে।
১৩৫ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় এসেছে অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল মুমিনুল হকের (১১)। তামিম ইকবাল শতরানের দেখা পেয়েছেন দশবার।
মুশফিকের সঙ্গে এরই মধ্যে জমে গেছে লিটন দাসের জুটি। ৬৭ বলে তারা যোগ করেছেন ৬৩ রান। তাদের দৃঢ়তায় বড় লিডের পথে ছুটছে বাংলাদেশ।
ঘটনাবহুল এক ওভার করলেন বেন হোয়াইট। দ্বিতীয় বলে কিপারের ব্যর্থতায় বেঁচে যান লিটন দাস। তবে এক বল পরই ড্রেসিং রুমে ফেরেন কিপার-ব্যাটসম্যান। ক্রিজে নেমে ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
হোয়াইটের অফ স্টাম্পের বাইরের বল অফ ড্রাইভ করে রানের জন্য ছোটেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বল সোজা ফিল্ডারের হাতে যাওয়ায় শুরুতে সাড়া দেননি লিটন। কিন্তু মুশফিক অনেকটা পথ চলে আসায় নিজের উইকেট আত্মত্যাগের জন্যই ক্রিজ ছেড়ে বের হন লিটন।
দুই ব্যাটসম্যানকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দেখে কিপারের কাছে থ্রো করেন হ্যারি টেক্টর। কিন্তু সেটি গ্লাভসে জমাতে পারেননি লরকান টাকার। ফলে নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যান লিটন।
অবশ্য তাতে কোনো লাভ হয়নি। এক বল পর প্রায় একই ধরনের ডেলিভারি টেক্টরের মাথার ওপর গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু সফল হননি। দারুণ ক্যাচে লিটনকে ফেরান টেক্টর। ভাঙে ৮৪ বল স্থায়ী ৮৭ রানের জুটি।
ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৮ চারে ৪১ বলে ৪৩ রান করেন লিটন। দশম সেঞ্চুরি করা মুশফিক অপরাজিত ১১২ রানে।
৫৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৯০ রান। লিড এখন ৭৬ রানের।
সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে হারালেও মিরপুর টেস্টে আরেকটি দারুণ সেশন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম। লিড ছাড়িয়েছে শতরান।
দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩১৬। আয়ারল্যান্ডকে ২১৪ রানে গুটিয়ে দেওয়া স্বাগতিকরা এগিয়ে ১০২ রানে।
১৫৯ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১২৪ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। দুই চার ও এক ছক্কায় ২০ বলে ১৮ রানে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরই মধ্যে তারা ৩৭ বলে গড়েছেন ৩০ রানের জুটি।
২৭ ওভারে স্বাগতিকরা যোগ করেছে ১৪৬ রান। এর আগে প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে এসেছিল ১৩৬ রান।
দশম সেঞ্চুরি করা মুশফিককে ঘিরে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ইনিংস। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার সঙ্গে ১৮৮ বলে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। লিটন দাস ৮৪ বলে উপহার দেন ৮৭ রানের জুটি।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮৭ রানে থামেন সাকিব। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুত এগোনো লিটন ৪১ বলে করেন ৪৩ রান। লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে মুশফিকের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ছাড়া লোয়ার অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানদের রেকর্ড আশা জাগানিয়া কিছু নয়।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় থামলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
বেরিয়ে এসে অফ স্পিনারের উপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন মুশফিক। টাইমিং একেবারেই হয়নি। বেশ উঁচুতে ওঠে যায় বল। সীমানা থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে চমৎকার এক ক্যাচ নেন মারে কমিন্স। ভাঙে ৫৭ বল স্থায়ী ৪৫ রানের জুটি।
১৬৬ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১২৬ রান করেন মুশফিক।
৬৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৩৩১। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। স্বাগতিকরা এগিয়ে ১১৭ রানে।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করা বলে চড়াও হতে চেয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু ঠিক মতো খেলতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের স্টাম্প তাক করে ডেলিভারিগুলো ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন তাইজুল। স্টাম্পের বাইরে পেয়েই অফে তুলে মারতে চেয়েছিলেন তিনি। একটু আগেভাগেই শট খেলে ফেলায় ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে।
১২ বলে ৪ রান করেন তাইজুল। তিনি অফ স্পিনার ম্যাকব্রাইনের চতুর্থ শিকার।
৭২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ৩৪১। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট পেলেন অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন। এই অফ স্পিনার পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে স্পিন করে করে ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৭ বলে এক চারে ৪ রান করেন শরিফুল।
৭৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৩৪৮। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী ইবাদত হোসেন। স্বাগতিকরা এগিয়ে ১৩৪ রানে।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই খেলেছিলেন ইবাদত হোসেন। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লরকান টাকারের গ্লাভসে।
রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ইবাদত। ২৮ ইনিংসের ক্যারিয়ারে তার দশম শূন্য এটি। ইনিংসে ম্যাকব্রাইন নিয়েছেন ৬ উইকেট।
৭৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৫৪ রান। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৫ রানে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ লিড ১৪০।
শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরই মাঝে করে ফেলেছেন ফিফটি। ৭৭তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ পূরণ করেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি করতে ৬৬ বল খেলেছেন মিরাজ। ৬ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কা।
মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার সময় ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। অপর প্রান্তে তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন দ্রুত ফিরে গেলেও দলের রান বাড়ানোর অভিযানে অবিচল এই অলরাউন্ডার।
৭৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৬১ রান। লিড ১৪৭।
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান। আগেই তা দেখতে পেয়ে খাটো লেংথে জোরের ওপর বল করেন বেন হোয়াইট। শেষ মুহূর্তে ডিফেন্ড করতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত মিরাজ। বল গ্লাভসে নিয়েই স্টাম্প ভাঙেন লরকান টাকার।
এর সঙ্গে ইতি ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। ৩৬৯ রানে অলআউট হয়েছে তারা। লিড পেয়েছে ১৫৫ রানের।
৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রান করেছেন মিরাজ। খালেদ আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
অল্প সময়ের মধ্যেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের খেলা বাকি আছে ১৭ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৪/২) ৮০.৩ ওভারে ৩৬৯ (মুমিনুল ১৭, মুশফিক ১২৬, সাকিব ৮৭, লিটন ৪৩, মিরাজ ৫৫, তাইজুল ৪, শরিফুল ৪, ইবাদত ০, খালেদ ৪*; অ্যাডায়ার ১৭-২-৬৪-২, হিউম ১১-২-৩৭-০, ম্যাকব্রাইন ২৮-২-১১৮-৬, ক্যাম্পার ৮-১-৫৪-০, হোয়াইট ১৩.৩-০-৭১-২, টেক্টর ৩-০-২১-০)
আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬৬তম ওভারটি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারটি করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক এবং সাফল্যও পেলেন।
দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন থেকে বেঁচে যান মারে কামিন্স। চতুর্থ বলে জেমস ম্যাকলামের বিরুদ্ধে আবার এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করে বাংলাদেশ। আলিম দার সাড়া না দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সাকিব।
ব্যাটে খেলতে পারেননি ম্যাককলাম আঘাত হানে প্যাডে। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লাগতো লেগ স্টাম্পে। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পান আইরিশ ওপেনার।
১ ওভারে আয়ারল্যান্ডের রান ২/১। ক্রিজে কমিন্সের সঙ্গী অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
দারুণ সেঞ্চুরি উপহার দিলেন মুশফিকুর রহিম। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সম্ভাবনা জাগালেও তা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে করা ফিফটিতে দলকে চাপমুক্ত করেন অধিনায়ক। শেষ দিকে লড়াকু ফিফটিতে লিড বাড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে ৩৬৯ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৫৫ রান। বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত এই রান করতে হবে আইরিশদের।
আগের দিন শেষ বিকেলে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। বুধবার শুরুতেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন মুমিনুল হক। তবে চাপ বাড়তে দেননি সাকিব ও মুশফিক। পাল্টা আক্রমণে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন দুজন।
দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছোঁয়ার ঠিক আগে আউট হন সাকিব। ১৪ চারে ৯৪ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। তবে মুশফিক এক প্রান্ত আগলে রেখে এগোতে থাকেন। সাকিবের বিদায়ের পর নেমে লিটনও খেলেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে।
ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮ চারে ৪১ বলে ৪৩ রান করে আউট হন বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটসম্যান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৩৫ বলে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিক। তার ইনিংস থামে ১২৬ রানে।
শেষ দিকে ৮০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করান মিরাজ।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন ১১৮ রানে নেন ৬ উইকেট। বেন হোয়াইট ও মার্ক অ্যাডায়ারের শিকার ২টি করে উইকেট।
'আরেকটা নিয়ে নেন টিজে, আরেকটা নেন'- স্লিপ থেকে তাইজুল ইসলামকে বলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক বল পরই অনুজ সতীর্থের কথা রাখলেন তাইজুল। দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করলেন মারে কমিন্সকে।
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি শার্প টার্নে ঢুকছিল স্টাম্পের দিকে। ব্যাট নামাতে দেরি করে ফেলেন কমিন্স। বল আঘাত হানে প্যাডে। জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন কমিন্স। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, স্টাম্পের উপর দিকে লাগতো বল। আম্পায়ার্স কলের টিকে যায় রিভিউ, ফিরে যান আইরিশ ওপেনারকে। ১২ বলে তিনি করেন ১ রান।
৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭ রান। তারা পিছিয়ে ১৪৮ রানে।
নতুন বলে বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি স্পিনারের সামনে কোনো জবাবই খুঁজে পাচ্ছেন না আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ছয় ওভারের মধ্যেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। সবশেষ ফিরলেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
তাইজুল ইসলামের আর্ম ডেলিভারি পেছনে পায়ে দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। কিন্তু বল তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। যা ক্যাচ নেন লিটন দাস। অর্থাৎ 'এক বলেই দুই আউট' বালবার্নি। ১২ বলে তিনি করেন ৩ রান।
৫.১ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার।
সাকিব আল হাসানের সামান্য ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি সামনের পায়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্পার। কিন্তু ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।
জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ক্যাম্পার। রিপ্লেতে দেখা যায়, খুবই সূক্ষ্মভাবে ছুঁয়েছে তার ব্যাটের বাইরের কানা। তাই ফিরে যেতে হয় ক্যাম্পারকে। ৪ বলে তিনি করেন ১ রান।
স্রেফ ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। এখনও ১৪২ রানে পিছিয়ে তারা। উইকেটে দুই ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর ও পিটার মুর।
সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের স্পিনে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ বেলায় বেশ ভুগেছে আয়ারল্যান্ড। দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। দলকে বসিয়েছেন চালকের আসনে।
দ্বিতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের রান ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭। বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে সফরকারীদের করতে হবে আরও ১২৮ রান।
এক চারে ৪০ বলে ৮ রানে খেলছেন হ্যারি টেক্টর। ৩৩ বলে দুই চারে পিটার মুরের রান ১০। তাদের জুটিতে ১৪ রান এসেছে ৬৩ বলে।
মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি এবং সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করে বাংলাদেশ। নেয় ১৫৫ রানের বড় লিড।
তাইজুল ও সাকিবের স্পিনে ম্যাচ এমন এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে যেখান থেকে তৃতীয় দিনেও শেষ হয়ে যেতে পারে খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৯
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৭ ওভারে ২৭/৪ (কমিন্স ১, ম্যাককলাম ০, বালবার্নি ৩, টেক্টর ৮*, ক্যাম্পার ১, মুর ১০*; সাকিব ৭-২-১১-২, তাইজুল ৭-৪-৭-২, মিরাজ ২-১-১-০, ইবাদত ১-০-৪-০)