Published : 15 Dec 2023, 01:21 PM
রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সামনে এখন বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলে আছে। তবে আগামী বছরের বিশ্বকাপে তাকিয়ে উত্তরটা পরিষ্কারভাবেই জানা হরভজন সিংয়ের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকেই ভারতীয় দলে দেখতে চান সাবেক অফ স্পিনার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনিতে দুজনের রেকর্ডই দুর্দান্ত। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার হাজার রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান কোহলি। রানের তালিকায় তার ঠিক পরেই আছেন রোহিত।
এই সংস্করণে বিশ্বরেকর্ড ১৪৮ ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। কোহলিও খেলেছেন ১১৫টি ম্যাচ। তবে গত বছরের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর দেশের জার্সিতে এই সংস্করণে দেখা যায়নি দুজনকে।
রোহিত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে গত এক বছরে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মূলত হার্দিক পান্ডিয়া। ১৬ টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতে নানা সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, লোকেশ রাহুল, এমনকি রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। পান্ডিয়ার চোটের কারণে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। রোহিত ও কোহলির টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষ্কার কোনো বার্তা ভারতীয় বোর্ড থেকে এই সময়টায় দেওয়া হয়নি।
তবে মূলত তরুণদের ঘিরেই টি-টোয়েন্টি দল গড়ে তোলার চেষ্টা দেখা গেছে এই সময়টায়। শুবমান গিলের সঙ্গে ইয়াসাসবি জয়সওয়াল, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, তিলাক ভার্মা, রিঙ্কু সিংয়ের মতো ব্যাটসম্যানরা এখন খেলছেন এই সংস্করণে। রোহিত ও কোহলিকে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে আর দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল।
তবে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন এগিয়ে আসছে, এই দুজনের আলোচনাও নতুন করে উঠতে শুরু করেছে। ভারতীয় একটি নিউজ এজেন্সিতে যেমন হরভজন বললেন, বিশ্ব আসরে ফেরানো উচিত দুজনকেই।
“আমার মতে, বিশ্বকাপে ভিরাট ও রোহিতের দুজনকেই রাখা উচিত। ভালো একটি দলীয় সমন্বয় তখনই সম্ভব, যখন তরুণদের সঙ্গে ভালো মানের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও রাখা হয়। দলে ভিরাট ও রোহিতের যথেষ্ট উপযোগীতা আছে এখনও। আমার মনে হয়, দুজনেরই বিশ্বকাপ খেলা উচিত।”
তবে তরুণদের ওপরও ভরসা রাখছেন হরভজন। এখনকার দলটিকে নিয়ে এখনই কাটাছেঁড়া না করে সময় দিতে বললেন তিনি।
“এই দলটা খুবই তরুণ, ওদেরকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। আমরা খুবই ফলাফল-প্রবণ মানসিকতার। ভালো ফল এলেও কেবল দলকে ভালো মনে হয় আমাদের। এমনটি হওয়া উচিত নয়। ওদেরকে সময় দিলেই কেবল ওরা শিখতে পারবে। খুব দ্রুতই আমরা দলের ফলাফল দেখে বিচার করতে চাই, এই মানসিকতা বদলাতে হবে। ফল মিলতে সময় লাগে। এই দলটা একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।”