জাতীয় লিগের আলাদা দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে এই পারফরম্যান্স করেছেন তারা।
Published : 27 Oct 2022, 08:00 PM
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক চলতি জাতীয় লিগ দিয়ে। এই সংস্করণে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখালেন আবদুল্লাহ আল মামুন। উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি। আরেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন অমিত মজুমদার।
সিলেট বিভাগের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ১৮ বছর বয়সী মামুন। ৩৬৪ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ১৩ ছক্কা ও ১৬ চারে।
খুলনা বিভাগের হয়ে রাজশাহীর হয়ে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ১৯৬ বলে ১০১ রান করেন অমিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮ ফিফটির পর প্রথম সেঞ্চুরি দেখা পেলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সিলেটে এই দুই ম্যাচের প্রথম দুই দিন ভেস্তে যায়। অনুমিতভাবে বৃহস্পতিবার শেষ দিন দুটি ম্যাচই হয় ড্র।
২ উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা রংপুর প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেটে ৪০৫ রানে। পরে ২ উইকেটে ১১৯ রান করে সিলেট।
৭৯ রানে দিন শুরু করা মামুন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ২২১ বলে। ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি আরও সামনের দিকে। দ্রুত রান বাড়িয়ে দেড়শ স্পর্শ করেন তিনি ২৭৯ বলে, ছক্কায় মেরে। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে দুইশতে রূপান্তর করেন তিনি ৩৪২ বলে।
সিলেটের হয়ে ৭১ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি।
ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান সিলেটের তৌফিক খান। কিন্তু আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। নাসির হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামে তার ৮টি করে ছক্কা-চারে ৬২ বলে ৯২ রানের খুনে ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ১২৫.২ ওভারে ৪০৫/৭ ডিক্লে: (আগের দিন ১৭২/২) (মামুন ২১০*, নাঈম ৬৫, নাসির ২৯, আকবর ১, আরিফুল ২৮, সোহরাওয়ার্দি ২৫, আবু হাসিম ০*; আবু জায়েদ ২৪-২-৭১-৪, তানজিম ২২-৪-৪৯-০, মহিউদ্দিন ১৫-২-৩৪-০, নাবিল ৩০-৮-৯০-১, আল আমিন জুনি. ১৫.২-০-৪৯-২, রাহাতুল ৫-১-৩৩-০, গালিব ১২-০-৫০-০, ইমতিয়াজ ২-০-৩-০)
সিলেট বিভাগ ১ম ইনিংস: ২১.২ ওভারে ১১৯/২ (তৌফিক ৯২, রাহাতুল ১৪, গালিব ১২*; সোহেল ৪-১-১১-০, মুশফিক ৩-০-১৮-০, আরিফুল ৩-১-৬-০, আবু হাসিম ৫-২-৪১-১, সোহরাওয়ার্দি ৪-০-৩৫-০, তানবীর ২-০-৬-০, নাসির ০.২-০-১-১)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: আব্দুল্লাহ আল মামুন
অমিতের সেঞ্চুরি
প্রকৃতির বাগড়ার পর যেটুকু খেলার সুযোগ মিলেছে তা লুফে নেন অমিত। দারুণ ব্যাটিং উপহার দিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। যার সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান করে খুলনা বিভাগ।
রাজশাহীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও আসাদুজ্জামান পায়েল। দুটি প্রাপ্তি ফরহাদ রেজার।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ১২৪ রান করে রাজশাহী। তাদের হয়ে ৭ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন জহুরুল ইসলাম। ৬ চারে ৫১ রান নিয়ে দিন শেষ করেন ফরহাদ হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৬৭ (আগের দিন ১৫৬/৪) (অমিত ১০১, রোয়েন ১৮, জিয়াউর ১১, মৃত্যুঞ্জয় ১৬, রাইহান ১৬, রিপু ৮*, আশিকুর ৪; নাহিদ ১৪.৫-০-৪৬-৩, পায়েল ২৩-২-৮৩-৩, ফরহাদ রেজা ৭-১-১৭-২, সানজামুল ১৩-১-৪৮-০, নাহিদ উজ জামান ১৪-২-৪৩-০, ফরহাদ ১১-৫-১৪-১)
রাজশাহী বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩৮.৪ ওভারে ১২৪/১ (জহুরুল ৬৪*, জুনায়েদ ৪, ফরহাদ ৫১*; আশিকুর ৫-১-১৬-১, শেখ মেহেদি ৮-০-১৬-০, সালমান ৮-৩-২১-০, টিপু ১০-২-২৪-০, রায়হান ৩-০-১৬-০, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-১৯-০, রোয়েন ০.৪-০-৮-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: অমিত মজুমদার
তাইবুরের ফিফটি
প্রথম দিন কয়েক ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি ও ভেজা মাঠ মিলিয়ে ভেস্তে যায় মাঝের দুই দিন। চতুর্থ ও শেষ দিন মাঠে বল গড়ালে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলেন তাইবুর রহমান।
বগুড়ার শহিন চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচটি অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে।
তাইবুরের অপরাজিত ৫১ রানের পর প্রথম ইনিংসে ঘোষণা করে দেয় ঢাকা ৫ উইকেটে ১৫৮ রানে। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলে চট্টগ্রাম বিভাগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৫৯ ওভারে ১৫৮/৫ ডিক্লে: (আগের দিন ৫৪/২) (রকিবুল ১২, তাইবুর ৫১*, শুভাগত ৯, নাদিফ ২৫*; সাইফ ১৫-৪-৪২-০, ইয়াসিন ১৩-২-৩৫-৩, শরিফ ১৩-৪-৩২-১, মুরাদ ১৪-৪-২০-১, তাসামুল ৪-০-১৯-০)
চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: ২২ ওভারে ৫০/২ ডিক্লে: (সাব্বির ৩, পিনাক ০, পারভেজ ২৬*, তাসামুল ১৯*; সুমন ৫-২-১৪-১, সাকিল ৭-১-১৮-১, রিপন ৬-২-৮-০, শুভাগত ৪-০-৮-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইয়াসিন আরাফাত মিশু