Published : 08 Jan 2024, 07:15 PM
দলের সামনে চোখ রাঙাচ্ছিল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কা। অধিনায়ক দাঁড়িয়ে গেলেন ঢাল হয়ে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে রিয়ান পারাগ উপহার দিলেন সেঞ্চুরি। তার নাম উঠে গেল রেকর্ড বইয়ে।
রঞ্জি ট্রফিতে সোমবার ছত্তিশগড়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিন ৫৬ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন আসামের অধিনায়ক পারাগ। ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি।
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি রিশাভ পান্তের। ২০১৬ সালে দিল্লির হয়ে ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। পান্তের শতকটি ছিল দিল্লি ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিং নামার পর। শতক করেছিলেন তিনি দলের প্রথম ইনিংসেও।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখে তিন সংস্করণেই ভারত দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন পান্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে ক্রিকেটের বাইরে আছেন তিনি। আইপিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
পান্তের মতো পারাগের সেঞ্চুরিও এসেছে ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিং নেমে। ৮৭ বলে ১২ ছক্কা ও ১১ চারে ১৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। যদিও তার দল হেরে গেছে ১০ উইকেটে।
রায়পুরে প্রথম ইনিংসে ছত্তিশগড়ের ৩২৭ রানের জবাবে ১৫৯ রানে গুটিয়ে যায় আসাম। ১৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ৭৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। সেখান থেকে দলকে একাই টানেন চারে নামা পারাগ।
তৃতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮২ রানে। শেষ দিনে পা রাখেন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ হয় তার ইনিংসটি।
আসামের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৫৪ রানে। পারাগের পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি!
৮৭ রানের ছোট লক্ষ্য ছত্তিশগড় ছুঁয়ে ফেলে ২০ ওভারে।
পারাগের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। তবে কয়েক বছর ধরে আইপিএলের নিয়মিত মুখ তিনি। ২০১৯ সাল থেকে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে খেলছেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।