বিকল্প ক্রিকেটার নেই, একাদশ দাঁড় করানোই কঠিন হচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের, বললেন অধিনায়ক আরিফুল হক।
Published : 24 Jan 2025, 09:21 AM
একাদশে উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান তিনজন, কিন্তু তাদের কেউ কিপিং করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে দায়িত্বটি সামলাচ্ছেন অনিয়মিত কিপার। পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র চোটের কারণে বাইরে। গুরুত্বপূর্ণ এক বিদেশি ক্রিকেটার তো চোট নিয়ে দেশেই ফিরে গেছেন। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলামকে খেলানোর পরিকল্পনা ছিল দলের। জানা গেল, তিনিও ফিট নন!
সব মিলিয়ে চোটে জেরবার সিলেট স্ট্রাইকার্স। অধিনায়ক আরিফুল হক অসহায় কণ্ঠে বলছেন, একাদশ সাজাতেই হিমশিত খাচ্ছেন তারা।
কাগজ-কলমের শক্তিতে এমনিতেই পিছিয়ে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তার পরও যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, সেটিও পূরণ করতে পারছে না দলটি। সিলেট পর্বে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে তবু জিততে পেরেছিল তারা। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচে জিততে পারেনি একটিও।
৯ ম্যাচে স্রেফ ২টি জয় পাওয়া দল এখন পয়েন্ট তালিকায় আছে তলানিতে। সামনের দিন ম্যাচে তাকিয়েও ভালো কিছুর আশা দেখাত পারছেন না আরিফুল। তার দল এখন একটি ‘মিনি হাসপাতাল।’ খুলনার কাছে হারার পর সিলেট অধিনায়ক বললেন, একাদশ গঠন করাই এখন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
“আমাদের উইকেটকিপার চারটা। চারটা কিপার থাকার পরও আমাদের রনিকে কিপিং করতে হচ্ছে। কারণ, জাকের আলি অনিকের ব্যাকে লাগা (পিঠের সমস্যা), জাকিরের হাঁটুতে লাগা (চোট), মানজির আঙুলে লাগা (চোট)। ওরা কেউ কিপিং করতে পারছে না। বিষয়টা এমন যে, এখন রনিকে দিয়ে আমাদের কিপিং করা হচ্ছে।”
“আরেকটা হলো আমাদের সাকিব (তানজিম হাসান)। ওর হাঁটুতে লাগছে, আমরা চট্টগ্রামে ওকে পাইনি। আমাদের বোলিং শক্তিও কমে গেছে এখানে। আজকে নাহিদকে নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম যে ওকে খেলাব। কিন্তু ওর ব্যাকে (পিঠে) লেগেছে। যত কিছু আছে, আমাদের দলে সব একসঙ্গে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের এখন ১১ জন করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
জাকির-জাকের-মানজিরা একাদশে থাকার পরও গত দুই ম্যাচে কিপিং করেছেন রনি। আইরিশ অধিনায়ক জর্জ মানজিকে নিয়ে অনেক আশা ছিল দলের। কিন্তু চার ম্যাচ খেলে তিনি করতে পেরেছেন মোট ২৪ রান। চোটের কারণে ফিরে গেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রাকিম কর্নওয়াল।
খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাদিম অ্যালেইনকে বিপিএল অভিষেক করিয়েছে দলটি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচ খেলে যার ব্যাটিং গড় ১৩.৭২, বোলিংয়ে উইকেট তিনটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটেও কজন তাকে চেনেন, এই প্রশ্ন তোলা যায়।
চোট-জর্জর দলের অধিনায়ক আরিফুলের কণ্ঠ এখানে অসহায়ই শোনাল।
“(নিজেদের) দুর্ভাগা তো মনে হচ্ছেই। রাকিমের (কর্নওয়াল) পুরো মৌসুম খেলার কথা ছিল। সেও এসে চোট পেয়ে চলে গেল। এখন দলের সবাই মনে হয় ইনজুরড। ব্যাক-আপ ক্রিকেটার বলতে কেউ নেই। ভাঙাচোরা (দল) নিয়েই খেলতে হচ্ছে।”
ঢাকায় ফিরে রোববার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলবে সিলেট, পরদিন তাদের প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী। শেষ ম্যাচে তারা লড়বে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে।