‘আমরা চাচ্ছি না এখানে কোনো পরীক্ষা করতে’, দল ঘোষণার পর বললেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
Published : 08 Apr 2025, 06:00 PM
প্রশ্নটা উঠবে, নিশ্চয়ই জানতেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। কাউকে বাজিয়ে দেখতে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইলে দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চেয়ে উপযুক্ত সুযোগ তো আর হয় না। অথচ বাংলাদেশ বেছে নিল সম্ভাব্য সেরা দলই। বিসিবির ভিডিও বার্তায় সেটির কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। চোটের কারণে এই সিরিজে থাকছেন না তাসকিন আহমেদ। সম্ভাব্য সেরা দলের আর কেবল লিটন কুমার দাস থাকছেন না এই সিরিজে। তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে।
বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। লম্বা সময় পর দল দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে খেলছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ বেছে নেওয়া হয়নি, বললেন প্রধান নির্বাচক।
“চার-সাড়ে চার মাস পর আমরা টেস্টে ফিরছি। এরপর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জুন মাসে টেস্ট সিরিজ আছে। এজন্য আমরা চাচ্ছি না এখানে (জিম্বাবুয়ে সিরিজে) কোনো পরীক্ষা করতে।”
“লিটন দাস পিএসএলে খেলতে যাওয়ার কারণে সেখানে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। নাহিদ রানাকেও একটি টেস্ট খেলিয়ে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি পিএসএল খেলার জন্য। সেখানেও সুযোগ আছে (অন্য কারও)।”
গাজী আশরাফ মনে করিয়ে দিলেন দেশের মাঠে গত বছর দুটি সিরিজে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের কথাও। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দেশের মাঠে সবশেষ পাঁচ টেস্টেই পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে। এবার তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেরা দল মাঠে নামাচ্ছেন নির্বাচকরা।
“একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোটেও ভালো করতে পারিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আমাদের ফলাফল আকাঙ্ক্ষিত ছিল না। অথচ পাকিস্তানে আমরা স্মরণকালের সেরা সাফল্য পেয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও আমরা টেস্ট জয়ের সুবাতাস পেয়েছি। গত এক বছরে তুলনামূলকভাবে দেশের (মাঠে) পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। সে কারণেই আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি।”
দলে যারা সুযোগ পাননি বা জাতীয় দলের আশেপাশে আছেন কিংবা সুযোগ প্রত্যাশা করছেন, তাদের জন্য আশার কথাও শোনালেন প্রধান নির্বাচক।
“মে মাসে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের খেলা আছে। পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স দলেরও খেলা আছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে দুটি সংস্করণে, এক দিনের ও চার দিনের ম্যাচের সিরিজ। আমাদের অনেক অপশন আছে যোগ্য ক্রিকেটারদের সেখানে সুযোগ দেওয়ার। সে কারণেই আমাদের সম্ভাব্য সেরা ক্রিকেটারদের নিয়েই এই দলটি সাজিয়েছি।”