ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ম্যাচে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা, রকিবুল হাসান ও এনামুল হক এনাম।
Published : 24 Mar 2025, 08:20 PM
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে রান তাড়ায় ইনিংস শুরু করতে নেমে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন পারভেজ হোসেন। চমৎকার এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন আবাহনী লিমিটেডের এই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অন্য ম্যাচে তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন সাব্বির হোসেন, ইরফান শুক্কুর ও ইমরুল কায়েস।
ধানমন্ডির বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। প্রতিপক্ষের ২০১ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৩৯.২ ওভারে। অন্য ম্যাচে ৩২১ রানের পুঁজি গড়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৩৪ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
নিজেদের ম্যাচে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন আবাহনীর পেসার নাহিদ রানা ও বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান এবং ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অফ স্পিনার এনামুল হক এনাম।
পারভেজের ১২৪
মিরপুরে সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ধানমন্ডিকে চেপে ধরেন নাহিদ ও রকিবুল। আবাহনীর এই দুই বোলারের ছোবল সামলে কোনোমতে দলকে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন ফজলে মাহমুদ ও জিয়াউর রহমান।
তিনে নেমে ৩ ছক্কা ও ৭টি চারে ১২৬ বলে ৮৭ রান করেন ফজলে মাহমুদ। আটে নামা জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৫ বলে ৫৭ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় ৭৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আবাহনী। ২৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন জিশান আলম। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুমিনুল হক।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত ধরে রাখেন পারভেজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ৫টি ছক্কা ও ১৩টি চারে ১৩৩ বলে ১২৪ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ১২৫ রানের জুটিতে ৩টি করে ছক্কা চারে ৫৪ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব: ৫০ ওভারে ২০১/৯ (হাবিবুর ৫, সানজামুল ৮, ফজলে মাহমুদ ৮৭, ইয়াসির ২, সোহান ১৫, মইন ১, মাসুম ২, জিয়াউর ৫৭, এনামুল ৪, কামরুল ০*, মুরাদ ১*; নাহিদ ১০-০-৪৫-৪, মৃত্যুঞ্জয় ১০-০-৬২-০, মোসাদ্দেক ১০-২-৪১-০, মেহেরব ৫-১-১২-০, রকিবুল ১০-২-১৬-৪, মাহফুজুর ৫-০-১৩-০)
আবাহনী লিমিটেড: ৩৯.২ ওভারে ২০৬/৫ (পারভেজ ১২৪*, জিশান ১৮, শান্ত ২, মিঠুন ১, মুমিনুল ২, মোসাদ্দেক ৫৪, মেহেরব ০*; মুরাদ ৭-১-৩৫-১, এনামুল ১০-০-৪০-৪, কামরুল ৬-১-৩৭-০, জিয়াউর ১-০-১০-০, মইন ৮-৩-২০-০, সানজামুল ৫-০-৩৮-০, মাসুম ২-০-১৮-০, ইয়াসির ০.২-০-৬-০)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ হোসেন
এক ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংকের তিনশ ছাড়ানো পুঁজি গড়ার পথে বড় অবদান রাখেন সাব্বির হোসেন ও ইরফান শুক্কুর। ওপেনিংয়ে নেমে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ১০২ রান করেন সাব্বির। তার ১২১ বলের ইনিংস গড়া ৫ ছক্ক ও ৭ চারে।
চারে নামা ইরফান শুক্কুর খেলেন অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস। তার তৃতীয় সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসটিতে ৪ ছক্কার সঙ্গে চার ৮টি। শাহাদাত হোসেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে করেন ৩৩ বলে ৪৮ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। একটা সময় তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ২০৩। সেখান থেকে ৮৪ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৪তম সেঞ্চুরিতে ১১৬ রান করেন ইমরুল কায়েস। ৪ ছক্কা ও ১১ চারে গড়া তার ১১৫ বলের ইনিংস। সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা ও ৬টি চারে ৬৮ রান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। দুটি প্রাপ্তি পেসার হাসান মাহমুদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩২১/৩ (সাব্বির ১০২, নাঈম শেখ ৩২, জাকির ২৬, ইরফান ১০৭*, শাহাদাত ৪৮*; শুভাগত ২-০-২২-০, রবিউল ১০-০-৮০-০, নাঈম ৯-০-৬০-১, রুয়েল ১০-০-৫৩-০, আরিফ ৯-০-৫৪-০, জাহিদ ১০-০-৫১-০)
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৭.৩ ওভারে ২৮৭ (প্রিতম ২৩, সাদমান ৬৮, ইমরুল ১১৬, মার্শাল ৬, জাহিদ ১৪, শুভাগত ২২, অমিত ৩, রবিউল ১, নাঈম ২২*, আরিফ ২, রুয়েল ০; হাসান ৯-০-৪৫-২, শফিকুল ৭.৩-০-৬২-১, নাহিদুল ৭-০-৫১-০, শামীম ৮-০-৪১-০, রিশাদ ৯-০-৪৮-৩, আরাফাত ৭-০-৩৯-৩)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইরফান শুক্কুর