নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের মতে, দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের সাহায্যের ক্ষেত্রে কোনো ভারসাম্য ছিল না।
Published : 09 Dec 2023, 06:25 PM
ম্যাচের প্রথম দিনই পড়েছে ১৫ উইকেট। পরের দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনে খেলা হওয়া স্রেফ ৩২.২ ওভারেও ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন সাত ব্যাটসম্যান। ফল আসা চতুর্থ দিনে এই সংখ্যাটি ১৪! ম্যাচ চতুর্থ দিনে গড়ালেও সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে দুই দিনেরও কম।
এতেই অনেকটা পরিষ্কার মিরপুর টেস্টের উইকেটের আচরণ। টিম সাউদির মতে, ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বাজে উইকেটে খেলেননি তিনি। ম্যাচ জিতলেও ব্যাটি-বোলিংয়ে সুষম লড়াই না হওয়ায় উইকেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যই করলেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক।
সিলেটে তুলনামূলক ভালো উইকেটে ১৫০ রানে হেরেছিল নিউ জিল্যান্ড। মিরপুরের স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে তাদের কাজ হওয়ার কথা ছিল আরও কঠিন। তবে গ্লেন ফিলিপসের দারুণ ব্যাটিং এবং এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনারের চমৎকার বোলিংয়ে ৪ উইকেটের জয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করেছে সফরকারীরা।
প্রথম ম্যাচ হারলেও উইকেটের আচরণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি নিউ জিল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার। প্রতিবারই ‘ভালো’ বলে রায় দেন তারা। কিন্তু মিরপুরে জেতার পরও উইকেট নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট নন সাউদি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই উইকেট নিয়ে খোলামেলাই সমালোচনা করলেন ৯৬ টেস্ট খেলা নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।
“খুব সম্ভবত, আমার ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট এটি। ব্যাট-বলের ভারসাম্যের কথা বললে, এটি বেশিরভাগ বোলারদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। তো আমার মনে হয়, ১৭০ ওভারে পুরো ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়াই মূলত বার্তাটা দেয়। এই অবস্থা থেকে ছেলেদের বেরিয়ে আসা ও জয় নিয়ে ফেরা অনেক আনন্দের।”
“আমার মনে হয়, এটি বিক্ষিপ্ত ধরনের একটি ম্যাচ ছিল। অবশ্যই খুব কঠিন উইকেট। রান পাওয়া খুব কঠিন ছিল। ম্যাচজুড়ে ছোট ছোট মুহূর্ত ও জুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্যান্য ম্যাচে বিশেষ করে যেখানে ব্যাট-বলের লড়াইটা সুষম থাকে, সেখানে এসব জিনিস সেভাবে চোখে পড়েনি। এমন উইকেটে ছেলেদের লড়াই করে ম্যাচ জিতে আসা খুব আনন্দের।”
ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সিরিজ জেতার নেশায়ই মূলত স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলার পরিকল্পনা সাজায় বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় কিছুটা সহজ হয় তাদের কাজ। কিন্তু দুই ইনিংসেই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাশুল গুনতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।
স্বাগতিকদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে ম্যাচ জেতার আনন্দ লুকালেন না সাউদি।
“বিশ্বের এই প্রান্তে খেলতে এলে বিশেষ করে আমাদের জন্য এই কন্ডিশন খুব অচেনা। এই ম্যাচের উইকেট বিশেষ করে... আমরা যেমন উইকেটের সঙ্গে অভ্যস্ত, তার চেয়ে অনেক অপরিচিত। আমার মনে হয়, টস হেরে এমন উইকেটে জিতে ফেরা বেশ আনন্দের। ভিন্ন ভিন্নভাবে ভিন্ন কয়েকজন এগিয়ে এসেছে। প্রথম টেস্টের পর এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ ভালো।”