দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের সিরিজে তৃতীয় টেস্ট ছিল না দেখে ভীষণ হতাশ সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক।
Published : 07 Jan 2024, 04:49 PM
কয়েক বছর ধরে নিজেদের মধ্যে সাধারণত তিন টেস্টের সিরিজ খেলে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। তবে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে দুই দল খেলেছে স্রেফ দুটি টেস্ট। এই সিরিজে তৃতীয় টেস্ট না থাকায় খুবই হতাশ এবি ডি ভিলিয়ার্স। এমন পরিস্থিতির জন্য বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগের দাপটকে দায়ী করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপ টাউনে দুই দিনে শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করে ভারত।
এবারের আগে দল দুটির মধ্যে গত তিনটি সিরিজে টেস্ট ছিল তিনটি করে। তার আগেরটিতে চারটি।
ডি ভিলিয়ার্স সবসময় লম্বা টেস্ট সিরিজের পক্ষে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এই ব্যাটসম্যান বললেন, বিশ্বের সত্যিকারের সেরা টেস্ট দলকে খুঁজে বের করতে হলে কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে হবে।
“এই সিরিজে তৃতীয় টেস্ট না থাকায় আমি খুশি নই। এর জন্য সারা বিশ্বের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে দায়ী করতে হবে। আমি জানি না কাকে দোষ দেব, কিন্তু বুঝতে পারি যে কিছু একটা ভুল হয়েছে।”
“যদি সব দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখতে চান এবং দেখতে চান যে বিশ্বের সেরা টেস্ট দল কোনটি, তাহলে কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে হবে।”
আগামী মাসে নিউ জিল্যান্ড সফরেও দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সবচেয়ে চমক জাগানিয়া ব্যাপার, এই সিরিজের জন্য দ্বিতীয় সারির দল দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। ১৪ সদস্যের দলের কেবল সাত জনের আছে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেলা নিল ব্রান্ডকে করা হয়েছে অধিনায়ক।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটোয়েন্টির দ্বিতীয় আসরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিউ জিল্যান্ড সফরে প্রথম পছন্দের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না প্রোটিয়ারা। ১০ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে এসএটোয়েন্টি। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টিতে খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ শীর্ষ ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি লিগকে ‘গুরুত্ব দিয়ে’ টেস্ট সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সারির দল দেওয়ায় কিছুদিন আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্টিভ ওয়াহ। টেস্ট ক্রিকেটের এমন অবস্থায় আইসিসি ও শীর্ষ ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কড়া সমালোচনা করেন এই অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সবাইকে আগ্রহী করে তুলতে সবার জন্য সমান ম্যাচ ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ডি ভিলিয়ার্সও অনুভব করছেন, টেস্ট ক্রিকেট চাপের মধ্যে আছে। ক্রিকেটার ও কোচদের পাঁচ দিনের সংস্করণে খেলার চেয়ে বেশি অর্থের প্রস্তাবের টুর্নামেন্ট বেছে নেওয়াকে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবেই দেখছেন তিনি।
"এটি (নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সারির টেস্ট স্কোয়াড) ক্রিকেট বিশ্বকে একটা ধাক্কা দিয়েছে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, টেস্ট ক্রিকেট চাপের মধ্যে আছে। এক্ষেত্রে এমনকি ওয়ানডে ক্রিকেট এবং পুরো সিস্টেমটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকছে।”
"খেলোয়াড়, বোর্ড এবং কোচরা যেখানে বেশি অর্থ থাকবে, সে দিকেই যাবে। তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার জন্য তাদের দোষ দিতে পারবেন না।”