উপযুক্ত কারণ ছাড়া ফের বাদ পড়লে ক্যারিয়ারে নতুন পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
Published : 06 Apr 2023, 09:41 PM
পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ না হলেও প্রায় দেড় বছর জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। সম্প্রতি আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে আবার দলে ফিরলেও সেই ক্ষোভ কমছে না পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডারের। বললেন, উপযুক্ত কারণ ছাড়া ফের বাদ পড়লে এবার ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের নিয়মিতদের একজন ছিলেন ইমাদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই আসরে ৬ ম্যাচ খেলে কেবলে একটিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১১ রান করেন তিনি। প্রতি ম্যাচেই বোলিং করে বাঁহাতি স্পিনে ২৮.৫০ গড়ে নেন ৪ উইকেট।
এরপর বাংলাদেশ সফরের দলে থাকলেও ইমাদকে খেলানো হয়নি কোনো ম্যাচে। বাদ পড়েন তিনি ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের দল থেকে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও ডাকা হয়নি তাকে।
গত বছর বিশ্বকাপের আগে নির্বাচকদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইমাদ। বাদ পড়ার কারণ জানতে চেয়েও নাকি যথাযথ কোনো উত্তর পাননি তিনি।
দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পান ইমাদ। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের অনুপস্থিতিতে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় পাকিস্তান।
দলের পারফরম্যান্স বাজে হলেও খারাপ খেলেননি ইমাদ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন তিনি। তিন ম্যাচে নেন দুই উইকেট। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আসছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আছেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি স্থানীয় টিভিকে ইমাদ বলেন, এবার বাদ পড়লে পেশাদার ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবেন তিনি।
“গত দেড় বছর আমাকে জাতীয় দলের বাইরে রাখার কারণ তারা (নির্বাচকরা) কখনও বলেনি। এমনটা আর হতে দেব না। এবার তেমন কিছু হলে আমি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিব।”
“আমি ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে আছি যে, আবার কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দেওয়া হলে আমাকে কোনো পদক্ষেপ নিতেই হবে।”
জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময় আর্থিকভাবে তিনি বেশি লাভবান ছিলেন বলেও জানান ইমাদ।
“(জাতীয়) দলের বাইরে থাকার সময় আমার কোনোরকম আর্থিক সমস্যা হয়নি। উল্টো আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলে যা আয় করতাম, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি আয় করেছি।”
“নিজের সামর্থ্য নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি যদি তেমন বোলার হতাম, যাকে কন্ডিশনের উপর নির্ভরশীল বলা হয় তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগে আমাকে ডাকা হতো না।”