টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার পর ইমাদ ওয়াসিম বলছেন, খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের এর চেয়ে বাজে অবস্থা দেখেননি তিনি।
Published : 16 Jun 2024, 11:35 AM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মাস তিনেক আগে অবসর প্রত্যাহার করেন ইমাদ ওয়াসিম। কিন্তু সাফল্যের আশায় দলে ফিরে তিনি সঙ্গী হলেন বিব্রতকর পরিণতির। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বললেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটে এর চেয়ে বাজে আর কিছু হতে পারে না।
স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টাই করার পর সুপার ওভারে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয় পাকিস্তানের। এরপর চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি বাবর আজমের দল।
তৃতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পায় ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এরপর যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের সব আশা। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।
হতাশার বিশ্বকাপে শেষটা ভালো করার আশায় রোববার আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ইমাদ সরাসরিই বললেন, খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তান ক্রিকেটে এর চেয়ে বাজে অবস্থা দেখেননি তিনি।
"হ্যাঁ! এটিই (আমার ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের) সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। এর চেয়ে বাজে আর হতে পারে না। এটিই সত্য।"
গত আসরে ফাইনাল খেলে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শেষ হয় তাদের শিরোপা স্বপ্ন। এর আগের বছর সেমি-ফাইনালে তারা হারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর এবার প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে সেরা আটেই যেতে পারল না তারা।
ইমাদের মতে, এবার যথাযথ মানসিকতার অভাবে ভুগতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
“আমি ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি। তাই এটিকে শিরোনাম করবেন না। এখানে পুরো বিষয়টা হলো মানসিকতা। আপনি কোন মানসিকতা নিয়ে খেলতে চান? আপনি হয়তো চোখে চোখ রেখে সমানে সমান খেলবেন অথবা নিজের মতো করে খেলবেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, চোখে চোখ রেখে খেলা উচিত। এরপর আপনি হেরে গেলেও বলতে পারবেন, ওই দিনে হয়তো যথেষ্ট ভালো ছিলেন না।”
“আমাদের দল খুব ভালো। ক্রিকেটাররাও যে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলার মতো ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সেটি চেষ্টা করিনি। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই ব্যর্থতার ভয় থেকে মুক্তি পেতে হবে। খেলোয়াড় বদলালেই কিছু হবে না। মানসিকতার বদলে অনেক কিছু বদলাতে পারে। একই বল ছক্কা বা চার বা এক রান হতে পারে। ওই বলেই আবার আউট বা ডটও হতে পারে।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সোনালি অতীতের কথা মনে করে বারবার মানসিকতা বদলের দিকেই জোর দেন ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
“আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিকতা বদলেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরাই রাজত্ব করতাম। আমার মতে, সেখান থেকে আমরা পিছিয়ে গেছি। হয়তো আমাদের মানসিকতায় বদল আনতে হবে, তিন বিভাগেই। শুধু নির্দিষ্ট কিছুর কথা বলব না।”
“ক্রিকেটারদের মানসিকতায় বদল আনতে পারলে আপনি সাধ্যের বাইরে গিয়েও অর্জন করতে পারবেন। সব সময় এটি বিশ্বাস করি আমি। এই ব্যাপারে আপনি অনেক কথা বলতে পারেন। কিন্তু এটি যা, তা-ই। আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি। পরের বিশ্বকাপে যারাই খেলবে, যেভাবেই খেলবে, আমার মতে সঠিক পথে এগোলে আমাদের জন্য ফল আরও ভালো হবে।”