মাঠে যে মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে নাকাল হতে হয়েছে, প্রতিপক্ষের সেই বোলারকেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সুরেশ রায়না। ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জানান, ৩০৮ রানের লক্ষ্যটা তাদের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর করে দেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারই।
Published : 19 Jun 2015, 07:37 PM
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গত বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাওয়া ৭৯ রানের জয়ে বল হাতে তাণ্ডব চালান মুস্তাফিজ। প্রতিপক্ষের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে অভিষেকেই বাজিমাত করে দেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।
রায়না ছাড়াও ভারতের রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজার উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এই পেসারের প্রশংসা করে রায়না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তাদের অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার (মুস্তাফিজ) আসলেই ভালো বোলিং করেছে।
বাংলাদেশের পেস তোপ সামলে লড়ে যাওয়া রায়না শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের এক কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ৪০ রানে থামতে বাধ্য হন। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের এই উঠতি পেসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ২১৬ ওয়ানডে খেলা ভারতের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
“যে পাঁচটা উইকেট মুস্তাফিজুর নিয়েছে, সবগুলোই স্লোয়ার বলে পেয়েছে সে। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের উইকেটগুলো সে নিয়েছে। প্রথমে সে রোহিতকে এবং পরে আমাকেও আউট করেছে।”
রবিন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভালোই লড়ে যাচ্ছিলেন রায়না। ৬০ রান তোলা এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের জয়ের আশাটা ফিকে করে দেন মুস্তাফিজ। তবে রায়না মনে করেন, ৩০৮ রান তাড়া করতে পারাটা তাদের জন্য উচিৎ ছিল।
“যখন জাদেজা ও আমি ব্যাটিংয়ে ছিলাম, আমার বিশ্বাস ছিল, আমরা যদি আরও পাঁচ ওভার খেলে যেতে পারি, তাহলে জিততে পারব। বিশেষ করে, এমন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে আমাদের জেতা উচিত ছিল।”
চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার সমীকরণ না মেলার কারণ বুঝতে অবশ্য কোনো সমস্যা হচ্ছে না রায়নার। মুস্তাফিজের সঙ্গে জ্বলে ওঠা তাসকিন আহমেদ ভারতের মুঠো থেকে ম্যাচ অনেকটাই বের করে নেন বলে জানান ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
“ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া দুটি ব্রেক থ্রু ছিল শিখর (ধাওয়ান) ও বিরাটকে (কোহলি) তাসকিনের ফিরিয়ে দেওয়া। এরপর আমার আর জাদেজা জুটিটা ছাড়া আর কখনোই আমরা ভালো জুটি গড়তে পারিনি। এটা আমাদের পীড়া দিচ্ছে।”
আগামী রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ম্যাচটিও হবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।