আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দারুণ কীর্তি গড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এখন বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক। এই ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ওয়ার্নার।
Published : 04 Mar 2015, 04:47 PM
পার্থের ওয়াকায় বুধবার শাপুর জাদরানের বলে মোহাম্মদ নবিকে ক্যাচ দেয়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ১৭৮ রান করেন ওয়ার্নার। তার ১৩৩ বলের ইনিংসটি ১৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো।
অস্ট্রেলিয়াও বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের (২৭৫ রানের) জয় পেয়েছে। ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয়টাকেই এগিয়ে রাখছেন ওয়ার্নার, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা জিতেছি। তো এটা চমৎকার।”
আফগানিস্তানের বোলারদের পিটিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৪১৭ রানের পাহাড়ে ওঠে। তারপরও ওয়ার্নার জানান প্রতিপক্ষের বোলাররা তাদের ইয়র্কার দিয়ে যথেষ্ট ভুগিয়েছে।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ম্যাথু হেইডেনের। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন হেইডেন; তার ইনিংসটি ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
বিশ্বকাপে একাদশ আসরে দুই ম্যাচে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২২ রানে থেমে যাওয়ার পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ রান করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষই স্বরূপে ফিরলেন তিনি।
শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন ওয়ার্নার। ৪০ বলে অর্ধশতকে পা রাখেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ৯২ বলে চতুর্থ ওয়ানডে শতক তুলে নেন তিনি। আর দেড়শ' রান তুলতে ১১৬ বল খেলেন তিনি।
২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্রিসবেনে খেলা ১৬৩ রানের ইনিংসটি।
ওয়ার্নের তোলা ১৭৮ রান ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। এ তালিকায় ওয়ার্নারের ওপরে আছেন শেন ওয়াটসন (১৮৫*) ও হেইডেন (১৮১*)।
পার্থের উইকেটে ওয়ার্নার ব্যাটিং ঝড় তুললেও শেষ পর্যন্ত ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন এই ক্যারিবিয় তারকা। ২১৫ রানের ইনিংস খেলে গেইল দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনের (১৮৮*) গড়া রেকর্ড ভেঙেছিলেন।