আইসিসি পুনর্গঠন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে আগামী চার বছর বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ হতাশ বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
Published : 25 Jan 2014, 10:51 PM
ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির তৈরি খসড়া প্রস্তাবে আইসিসির রাজস্ব বন্টন মডেল, প্রশাসনিক কাঠামো ও ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দল ২০১৫ সাল থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ অর্থাৎ আইসিসি সহযোগী সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলবে।
সোমবার থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। খসড়া প্রস্তাব নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে মুশফিকদের।
তিনি বলেন, “যদি দুই-স্তর পদ্ধতি প্রবর্তন হয়, তাহলে এত কষ্টের অর্থ কী? ক্রিকেট খেলার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করি। তাই এটা হলে আমাদের জন্য ভীষণ হতাশাজনক হবে।”
“এটা অনেক বড় ইস্যু এবং বিষয়টি আমাদের মোটেও ভালো লাগছে না। তবে এটা আমাদের হাতে নেই। গত দু/তিনটি সিরিজে আমাদের একটার পর একটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।”
মুশফিক আরো বলেন, “যে সিদ্ধান্তই হোক, আমাদের খেলতেই হবে। প্রত্যেক সিদ্ধান্তের ফলাফল আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।”
মুশফিক জানান, প্রস্তাবিত নতুন পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, তার দলের কোনো কিছু প্রমাণের বাকি নেই।
“আমাদের কাউকে কিছু প্রমাণ করার নেই। আমার মনে আমাদের দল যে কারো সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। সেই ধারাবাহিকতা আমরা দেখিয়েছি। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি বিরুপ কিছু হবে না এবং আমরা খেলতে পারবো।”
বাংলাদেশের অধিনায়ক আরো বলেন, “আমরা অন্য দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে মনে হয় শিগগিরই তা করতে হবে। আশা করি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি দেশের স্বার্থ বিবেচনা করেই তা নেবেন।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় আইসিসির সভায় তারা টেস্ট ক্রিকেটে দুই-স্তর কাঠামোর বিরোধিতা করবে।