আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পুনর্গঠন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকা।
Published : 22 Jan 2014, 05:26 PM
বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির তৈরি আইসিসির রাজস্ব বন্টন মডেল, প্রশাসনিক কাঠামো ও ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাবের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিকার দাবি, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পরিবর্তন ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাকি দেশগুলোকে দুর্বল করে দিবে।
ফিকা প্রধান পল মার্শ জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে বড় তিন বোর্ডের বাইরের দেশগুলোর ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে ক্রিকেটাররা শঙ্কিত।
তাই বাকি সাতটি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে এই চুক্তির বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহে আইসিসির সভায় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার জন্য ফিকা বাকি সাত দেশকে আহ্বান জানাচ্ছে। খেলাটির ভবিষ্যত তাদের এই পদক্ষেপের ওপরে নির্ভর করছে।”
আইসিসির ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশের সাতটির পেশাদার ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্ব করা সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনস’ বা ফিকা জানিয়েছে, ফাঁস হয়ে যাওয়া খসড়া প্রস্তাবে তারা ‘ভীষণ উদ্বিগ্ন’। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে আইসিসি তথাকথিত ‘বড় তিন’ বোর্ডের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
প্রস্তাবে অসংখ্য ইস্যু রয়েছে জানিয়ে মার্শ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। স্বার্থের সংঘাত এড়ানো এবং আইসিসির প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে এই তিন বোর্ড তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছে কিনা সে প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন তিনি।
তিন বোর্ডের এই প্রস্তাব ক্রিকেটের সব সূচিকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলবে জানিয়ে মার্শ জানান, তারাই ঠিক করবে কবে কার সঙ্গে কোথায় খেলবে। এতে অন্য বোর্ডগুলোর রাজস্ব কমার যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড প্রতি চক্রে প্রথম আট দলের সঙ্গে তিনটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলার নিশ্চয়তা দিলেও ভারত তেমন কিছু করেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ সব দেশই আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ভারতের সফরের ওপরে অনেকখানি নির্ভরশীল। ফিকার আশঙ্কা, ভারত এমনকি অনিয়মিতভাবেও অন্য দেশগুলো সফর না করলে অনেক দেশই অস্তিত্বের সংকটে পড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে মার্শ বলেন, “এর ফলে বড় তিন বোর্ডের সঙ্গে বাকিদের ব্যবধান আরো বেড়ে যাবে। এর ফলে আইসিসির ভবিষ্যত ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং স্বত্ব-মূল্য ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।”