দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর ধরা দিয়েছে সিরিজও। এবার টেস্টে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার পালা। লক্ষ্য পূরণে প্রক্রিয়া ঠিক রেখে করতে হবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আর সেজন্য পেসারদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
Published : 30 Mar 2022, 10:08 PM
সিরিজ শুরুর আগের দিন ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামদের কাছে নিজের চাওয়াটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মুমিনুল।
এবারের সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙেছে সফরকারীরা। তবে সবচেয়ে বেশি বিবর্ণ যে সংস্করণে, এবার শুরু হতে যাচ্ছে সেই চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আগের ছয় টেস্টের পাঁচটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হার বাংলাদেশের। অন্য ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ছাড়াতে পারেনি স্বাগতিদের প্রথম ইনিংসের রান। সেই ম্যাচ হেরেছিল ৩৩৩ রানে।
নিউ জিল্যান্ডেও বাংলাদেশের রেকর্ড ছিল অনেকটা একইরকম। এ বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জিতে চিত্রটা পাল্টে ফেলেছে মুমিনুলের দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তির জন্য পেসারদের দিকে তাকিয়ে অধিনায়ক।
“দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট সবাই জানেন যে পেস বান্ধব হয়। আমার কাছে ডারবানের উইকেটও মনে হচ্ছে পেস বান্ধব হবে। পেস বোলাররা হয়তো সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে, আমার কাছে মনে হয়। তবে পেস উইকেট হোক বা ফ্ল্যাট, গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিকভাবে বল করা, একটা প্রক্রিয়ায় বল করা, ভালো জায়গায় বল করা। ফ্ল্যাট উইকেটে হোক বা পেস বোলারদের সহায়ক উইকেটে হোক, ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি করা, ওইটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
“বিদেশে ম্যাচ জিততে হলে পেস বোলারদের পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ। পেস বোলাররা যদি ভালো পারফর্ম করতে পারে, জায়গায় বল করতে পারে, উইকেট বের করে দিতে পারে, ব্রেক থ্রু দিতে পারে ভালো সময়ে। পেস বোলারদের ভূমিকা আমার কাছ মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
টেস্ট দলের তিন পেসার তাসকিন, শরিফুল ও ইবাদত ছিলেন ওয়ানডে সিরিজের দলেও। প্রথম দুই জন তিন ম্যাচেই ছিলেন, সুযোগ পাননি ইবাদত। মুমিনুল জানালেন, তরতাজা হয়েই নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত এই পেসাররা।
“সবশেষ কয়েক দিনে ওরা (পেসাররা) ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েছে, রিকভারি করেছে, ফুরফুরে মেজাজে আছে। কালকে দেখা যাবে কী অবস্থা… আমার দেখা মতে সবাই ভালো অবস্থায় আছে শারীরিক ও মানসিকভাবে।”