‘গড়পড়তা মানের নিচে’ বেঙ্গালুরুর পিচ

ভারত-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট প্রথম দিন থেকেই ছিল স্পিনারদের জন্য সহায়ক। সময়ের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়া বেঙ্গালুরুর পিচে ম্যাচটি শেষ হয়ে যায় আড়াই দিনেই। এই পিচকে গড়পড়তা মানের নিচে বলল আইসিসি।

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ এই রেটিং দিয়েছেন। ফলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে এম চিন্নাস্বামি স্টেডিয়ামের নামের পাশে।

আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে পিচ নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন ভারতের সাবেক পেসার শ্রীনাথ।

“প্রথম দিনে পিচে বল অনেক ঘুরছিল। প্রতি সেশনের সঙ্গে যদিও উন্নতি হয়েছিল। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাট-বলের মধ্যে সমান প্রতিযোগিতা ছিল না।”

ম্যাচের প্রথম দিনে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে পড়ে ১৬ উইকেট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫৯.১ ওভারে ২৫২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। পরে ব্যাটিংয়ে নামা লঙ্কানরা ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ করে দিন।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ৩০৩ রান তুলে।

৪৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওইদিনই ব্যাটিংয়ে নেমে একটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সেদিনে মোট ১৪টি উইকেটের পতন হয়।

লঙ্কানদের বাকি ৯ উইকেট তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের মধ্যেই তুলে নেয় ভারত। ২৩৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো পিচ ‘গড়পড়তার নিচে’ রেটিং পেলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় একটি। আর ‘নিম্নমানের’ উইকেটের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট তিনটি। ‘অনুপযুক্ত’ হলে ডিমেরিট পয়েন্ট পাঁচটি।

পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৫ ডিমেরিন্ট পয়েন্ট পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১০ পয়েন্ট পেলে নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের।

দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেশী দুই দেশের দুটি পিচকে গড়পড়তা মানের নিচে রেটিং দিল আইসিসি। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের উইকেট ছিল একদম নিষ্প্রাণ। যা নিয়ে ম্যাচ চলাকালেই হয় অনেক আলোচনা-সমালোচনা। পরে গত ১০ মার্চ রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচকে গড়পড়তা মানের নিচে ঘোষণা করে আইসিসি।