বোলিংয়ে বাংলাদেশ, নাঈমের অভিষেক, নেই মুশফিক

টসের আগে বড় দুঃসংবাদ। কুঁচকির চোটের কারণে খেলতে পারবেন না মুশফিকুর রহিম। টসে অবশ্য ভাগ্যকে পাশে পেল বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে কাঙ্ক্ষিত টসটি জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাটিংয়ে পাঠালেন নিউ জিল্যান্ডকে।

হ্যাগলি ওভালের উইকেটের চেহারা অনুমিতভাবেই সবুজ। বেশ ঘাস আছে ২২ গজে, গতি ও বাউন্স এখানে থাকে সবসময়ই। নতুন বলে মুভমেন্টও যথেষ্ট থাকার কথা।

মুশফিকের জায়গায় বাংলাদেশের একাদশে জায়গা পেয়েছেন কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ৫ বছর আগে এই মাঠেই টেস্ট ক্যাপ পেয়েছিলেন তিনি। অভিষেকে খেলেছিলেন ৪৭ রানের ইনিংস। এরপর খুব বেশি এগোয়নি তার টেস্ট ক্যারিয়ার। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ইয়াসির আলি চৌধুরির কানকাশন বদলি হিসেবে ম্যাচের মাঝপথে টেস্ট খেলার সুযোগ পান প্রায় সাড়ে তিন বছর পর। এবার ফিরলেন শুরুর একাদশে।

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল এই সফরেই নেই। মাহমুদউল্লাহ অবসরে গেছেন গত বছর। মাশরাফি বিন মুর্তজা তো নেই ২০০৯ সালের পর থেকেই। এই পাঁচ সিনিয়রকে ছাড়া বাংলাদেশ মাঠে নামছে প্রায় ১৬ বছর পর। পাঁচজনের সবার অভিষেকের পর এই প্রথম বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে নেই তাদের কেউই। 

বাংলাদেশ দলে আরেকটি পরিবর্তন ছিল অবধারিতই। আঙুলের চোটের কারণে এই টেস্ট থেকে আগেই ছিটকে গেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তার বদলে অভিষেক হয়েছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের। বাংলাদেশের শততম টেস্ট ক্রিকেটার বাঁহাতি এই ওপেনার।

মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেই টেস্টে নেমে যাচ্ছেন তিনি। সবশেষ ম্যাচটিও খেলেছিলেন প্রায় দুই বছর আগে।

নিউ জিল্যান্ডের একাদশে পরিবর্তন একটি। স্পিনিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন।

নিউ জিল্যান্ড একাদশ: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, রস টেইলর, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, ড্যারিল মিচেল, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, নিল ওয়্যাগনার, ট্রেন্ট বোল্ট।