পিসিবির শুক্রবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে সরফরাজের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ হায়দার আলি ও অভিজ্ঞ ফখর জামান। গত মাসের শুরুতে দেওয়া দল থেকে বাদ পড়েছেন আজম খান ও মোহাম্মদ হাসনাইন। রিজার্ভ দলে ফখরের জায়গায় নেমে গেছেন খুশদিল শাহ।
আইসিসির নিয়মে আগামী রোববার পর্যন্ত আগের দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে। আয়ারল্যান্ডের পর এবার দলে বদল আনল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে পূর্ব ঘোষিত দলে পরিবর্তন আসবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আসরে নিজেকে মেলে ধরেও নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারেননি মালিক। ৬ ইনিংসে এক ফিফটিতে তিনি রান করেছেন ২২৫। গড় ৭৫, স্ট্রাইক রেট ১৪৯। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ টি-টোয়েন্টি খেলা মালিক সবশেষ জাতীয় দলে ছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বিবেচনায় প্রথমে সরফরাজকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছিলেন আজম। কিন্তু টি-টোয়েন্টি কাপে নিষ্প্রভ মইন খানের ছেলে। ৭ ইনিংসে ১২৯.৪৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেন কেবল ১২৩, ফিফটি নেই একটিও।
সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাক আপ হিসেবে মূল দলে জায়গা করে নিলেন সরফরাজ। এই টুর্নামেন্টে ৭ ইনিংসে এক ফিফটিতে রান করেছেন ১৮৫, গড় ৪৬.২৫।
কোভিড-১৯ প্রোটোকল ভাঙায় গত ইংল্যান্ড সফর থেকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হায়দার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দারুণভাবে। তার দলে ফেরার পথ করে দিয়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ৮ ইনিংসে তিনটি অপরাজিত ফিফটিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩১৭ রান তার। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৭৫, গড় ৬৩.৪০।
তবে শুরুতে রিজার্ভ দলে থাকা ফখরের চূড়ান্ত দলে ফেরা কিছুটা অবাক করার মতো। টি-টোয়েন্টি কাপে সময় ভালো যাচ্ছে না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। খেলেছেন কেবল তিনি ৪ ম্যাচ, রান মোটে ৮৮।
এদিকে, ১৫ জনের দলে থাকা সোহেব মাকসুদকে নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। ৩৪ বছর বয়সী এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার সময় চোট পেয়েছেন। পিসিবি জানিয়েছে, তার অংশগ্রহণ নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শের পর জানানো হবে।
আগামী ২৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা।
পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আসিফ আলি, সোহেব মাকসুদ, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, হায়দার আলি ও সরফরাজ আহমেদ।
রিজার্ভ: উসমান কাদির, শাহনাওয়াজ দাহানি, খুশদিল শাহ।