নিখুঁত লাইন-লেংথ আর স্লোয়ার-কাটার তো নিয়মিতই দেখা যায়। সঙ্গে যোগ হলে দারুণ কিছু ইয়র্কারও। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার চার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি মারতে পারল না একটিও। বল হাতে আবার আলো ছড়িয়ে রাজস্থান রয়্যালসের পেসার নিলেন ২ উইকেট।
Published : 25 Sep 2021, 06:21 PM
আবু ধাবিতে শনিবার ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে ওই উইকেট দুটি নেন মুস্তাফিজ। তার দারুণ পারফরম্যান্সের ম্যাচটি ৩৩ রানে হারে রাজস্থান। দিল্লির ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সাঞ্জু স্যামসনের ৫৩ বলে ৭০ রানের ইনিংসের পরও তারা করতে পারে ১২১।
মুস্তাফিজ পাওয়ার প্লেতে শুরু করেন রাজস্থানের বোলিং আক্রমণ। পরে দুটি ওভার করেন তিনি ইনিংসের শেষ দিকে। তার পরও একটি বাউন্ডারিও তিনি হজম করেননি।
শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন মুস্তাফিজের হাতে। পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ানের বিপক্ষে ৬ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে মুস্তাফিজের ওভার ওই একটিই। এরপর আবার বোলিংয়ে আনা হয় তাকে দ্বাদশ ওভারে, শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশাভ পান্তের জুটি যখন জমে গেছে দারুণভাবে। ২১ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে শক্ত অবস্থানে নেন এই দুজন।
উইকেটের খোঁজে থাকা রাজস্থানের অপেক্ষা শেষ হয় মুস্তাফিজের সৌজন্যে। তার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ বলে হুকের মতো খেলার চেষ্টা করেন পান্ত, ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে।
২৪ রান করা দিল্লি অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে ৪৫ বলে ৬৫ রানের জুটি। মুস্তাফিজ ওভার শেষ করেন ৫ রান দিয়ে।
১৬ ওভার শেষে মুস্তাফিজ আবার আক্রমণে। ব্যাট হাতে তখন ভয়ঙ্কর রূপে শিমরন হেটমায়ার। চেতন সাকারিয়ার ওভারে দুই চার, কার্তিক তিয়াগির এক ওভারে তিনটি মেরে দ্রুত রান বাড়াচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। রাজস্থানের ত্রাতা আবারও মুস্তাফিজ।
অফ স্টাম্পের বাইরে তার একটি ইয়র্কারে প্রথমে ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হেটমায়ার। পরের বলে আরেকটি ইয়র্ক লেংথের বল, এবার হেটমায়ার ব্যাট-বলে করতে পারেন। তবে ওই বলে টাইমিং করাই তো কঠিন। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় থার্ডম্যান ফিল্ডারের হাতে।
৫ চারে ১৬ বলে ২৮ করে ফেরেন বিস্ফোরক এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। ওই ওভার থেকে আসে কেবল ৪ রান।
ইনিংসের শেষ ওভারের দায়িত্বও দেওয়া হয় মুস্তাফিজকে। দুটি ডাবল আর তিনটি সিঙ্গেলে মুস্তাফিজ দেন ৭ রান। সঙ্গে দুটি বাই রান মিলিয়ে ওভার থেকে আসে ৯ রান।
২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ দলের সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (পৃথ্বী ১০, ধাওয়ান ৮, শ্রেয়াস ৪৩, পান্ত ২৪, হেটমায়ার ২৮, ললিত ১৪*, আকসার ১২, অশ্বিন ৬*; মুস্তাফিজ ৪-০-২২-২, লমরর ১-০-৫-০, সাকারিয়া ৪-০-৩৩-২, কার্তিক ৪-০-৪০-১, শামসি ৪-০-৩৪-০, তেওয়াতিয়া ৩-০-১৭-১)।