স্টার্ক-হেইজেলউডের নতুন বলের তোপে বিধ্বস্ত উইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 21 Jul 2021 09:37 AM BdST Updated: 21 Jul 2021 09:37 AM BdST
-
নতুন বলে স্টার্ক ও হেইজেলউডের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
-
ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পান হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। ছবি: উইন্ডিজ ক্রিকেট।
উইকেটে বাউন্স একটু অসমান। খানিকটা মন্থর, টার্নও মিলল বেশ। স্পিনারদের কাঙ্ক্ষিত উইকেট। সেখানেই নতুন বলে দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের প্রদর্শনী মেলে ধরলেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজডেল। এই দুজনের সুইং বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যালেক্স কেয়ারির নেতৃত্বে খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়া পেল বড় জয়।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়ার জয় ১৩৩ রানে।
বারবাডোজে মঙ্গলবার প্রথম ইনিংসের মাঝপথে নামা বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ৪৯ ওভারে। অস্ট্রেলিয়া তোলে ২৫২ রান। ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৭। তারা গুটিয়ে যায় স্রেফ ১২৩ রানেই।
নতুন বলে ৮ ওভারের ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন স্টার্ক ও হেইজেলউড। ২৭ রানে হারায় তারা ৬ উইকেট। স্টার্কের তখন ২৩ রানে উইকেট ৩টি, হেইজেলউডের বোলিং বিশ্লেষণ ৪-১-৩-৩!
স্টার্ক পরের দিকে এক ওভারে নেন আরও দুই উইকেট। ওয়ানডেতে অষ্টমবার ৫ উইকেট শিকার করে ম্যান অব দা ম্যাচ তিনিই। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলের পর হেইজেলউডকে আর প্রয়োজনই হয়নি।
দুই অস্ট্রেলিয়ান পেসারের পারফরম্যান্সে আড়াল হয় যায় হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের বোলিং। ম্যাচের প্রথম ভাগে এই ক্যারিবিয়ান লেগ স্পিনার পান ওয়ানডেতে প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ।
ওয়ার্নার-স্মিথ-ম্যাক্সওয়েল-কামিন্স-স্টয়নিসরা তো এই সফরেই আসেননি, ম্যাচের আগে ছিটকে যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। তবে অধিনায়কত্বের অভিষেকে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অ্যালেক্স কেয়ারি। ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কঠিন উইকেটে তার ৬৭ রানের ইনিংস ম্যাচের সর্বোচ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক হয় তিন জনের, দুই ব্যাটসম্যান জশ ফিলিপি, বেন ম্যাকডারমট ও পেসার ওয়েস অ্যাগার। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে ভালো শুরু এনে দেন ফিলিপি ও ম্যাকডারমট। ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুজন।

ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পান হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। ছবি: উইন্ডিজ ক্রিকেট।
তিনে নেমে মিচেল মার্শও আউট হন থিতু হয়ে। আকিল ফেরান চারে নামা মোইজেন হেনরিকেসকেও।
২৫ ওভারের বেশি উইকেটে কাটিয়ে ম্যাকডারমট আউট হন ৪৮ বলে ২৮ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৪ উইকেটে ১১৪।
কেয়ারি ও অ্যাশটন টার্নারের জুটি সেখান থেকে টেনে নেয় দলকে। পঞ্চম উইকেটে ১০৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন দুজন।
শেষদিকে যখন ঝড় তোলার পালা, তখন ৫ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৫ উইকেট। সবকটিই নেন ওয়ালশ।
শুরুটা হয় কেয়ারিকে দিয়ে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ বলে ৬৭ করে থামেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
দেড় বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে টার্নার আউট হন ৪৫ বলে ৪৯ রান করে। পরে আর দ্রুত রান তুলতে পারেন কেউ।
৭ ওভার শেষে একটি উইকেটও ছিল না ওয়ালশের। পরের তিন ওভারেই তিনি নেন ৫ উইকেট! অথচ ওয়ানডের জন্য আগে ঘোষিত দলে ছিলেন না এই লেগ স্পিনার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে পরে ঢুকে যান ওয়ানডে দলেও।
দুই রকম গতির উইকেটে আড়াইশর বেশি রান তাড়া করা ছিল এমনিতেই চ্যালেঞ্জ। স্টার্ক ও হেইজেলউড তা করে তোলেন আরও কঠিন। ইনিংসের প্রথম বলেই স্টার্ক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান এভিন লুইসকে।
নিজের পরের ওভারে এই বাঁহাতি পেসার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে উড়িয়ে দেন জেসন মোহাম্মদের স্টাম্প। কোনো রান করতে দেননি তিনি নিকোলাস পুরানকে। আরেক প্রান্তে হেইজেলউডের শিকার শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো ও জেসন হোল্ডার। ব্যস, ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং প্রায় ধ্বংসস্তুপ।
অ্যাডাম জ্যাম্পাকে পাল্টা আক্রমণে কাইরন পোলার্ড চেষ্টা করেন লড়ে যাওয়ার। ৪১ বলে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক স্পর্শ করেন ফিফটি। তবে পুরনো বলে ফিরে এক ওভারেই স্টার্ক নেন পোলার্ড ও আকিল হোসেনের উইকেট।
বিশাল ব্যবধানে জিতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের ১০টি পয়েন্ট পায় অস্ট্রেলিয়া। এখন তার পয়েন্ট তালিকার তিনে, ৫০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের পেছনে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামীকাল একই মাঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২৫২/৯ (ফিলিপি ৩৯, ম্যাকডারমট ২৮, মার্শ ২০, হেনরিকেস ৭, কেয়ারি ৬৭, টার্নার ৪৯, ওয়েড ৩, স্টার্ক ৮, জ্যাম্পা ১২*, অ্যাগার ৯, হেইজেলউড ১*; কটরেল ৮-০-৪৫-০, হোল্ডার ৮-০-৪৯-০, আকিল ১০-১-৫০-২, জেসন ৩-০-২৫-০, জোসেফ ১০-০-৪০-২, ওয়ালশ ১০-০-৩৯-৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: (লক্ষ্য ২৫৭) ২৬.২ ওভারে ১২৩ (লুইস ০, হেটমায়ার ১১, জেসন ২, ব্রাভো ২, পুরান ০, পোলার্ড ৫৬, হোল্ডার ০, জোসেফ ১৭, ওয়ালশ ২০, আকিল ০, কটরেল ৪*; স্টার্ক ৮-১-৪৫-১, হেইজেলউড ৬-১-১১-৩, জ্যাম্পা ৩.২-০-৩৯-১, অ্যাগার ৬-১-১৫-০, মার্শ ৩-০-৭-১)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৩৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মিচেল স্টার্ক।
-
নাঈমের জোড়া আঘাতে আশায় বাংলাদেশ
-
সাকিব যা পারলেন, নাঈমদের যা পারতে হবে
-
‘এই উইকেটে প্রথম ইনিংসে বড় রান খুব গুরুত্বপূর্ণ’
-
‘শতভাগ বিশ্বাস ছিল, অনুশীলন ছাড়াই পারবে সাকিব’
-
প্রথম দিনে দুই দলকে সমতায় দেখছেন হেরাথ
-
চারশর নিচে থামাতে চায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ৫০০
-
বাংলাদেশকে হতাশ করে ম্যাথিউসের সেঞ্চুরি
-
‘অসাধারণ খেলোয়াড় সাইমন্ডস মানুষ হিসেবে ছিল চমৎকার’
সর্বাধিক পঠিত
- সিটির হোঁচটে লিভারপুলের আশার পালে দোলা
- ‘অস্ট্রেলিয়া হারাল আরেক নায়ককে’
- 'ভয়ঙ্কর' কাদিসে পারল না রিয়াল
- মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে পিএসজির বড় জয়
- ‘ফ্রি ফায়ারে’ আসক্ত কিশোর, বেঁধে রাখা হচ্ছে শেকলে
- সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যু
- শ্রীলংকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে তামিল টাইগাররা, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা
- ম্যাথিউসের লড়াকু সেঞ্চুরি, পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ‘মেসি-নেইমারকে বদলে কাকে পেতে চান?’
- তাজমহলের সেই বন্ধ কক্ষগুলোর রহস্য কী?