অনেক আগে করা বর্ণবাদী ও ‘সেক্সিস্ট’ টুইট-এর জন্য নিউ জিল্যান্ড সিরিজের মাঝপথে তাকে নিষিদ্ধ করেছিল ইসিবি। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে গত বুধবার শুনানি হয়। তিন সদস্যের ক্রিকেট ডিসিপ্লিন কমিটি তাকে আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে, এর মধ্যে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের জন্য স্থগিত থাকবে।
ইসিবির নিষেধাজ্ঞায় এরই মধ্যে তিন ম্যাচের শাস্তি কাটিয়ে ফেলেছেন রবিসন; নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে। ছিলেন না সাসেক্সের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের দুটি ম্যাচে।
রবিনসনকে তিন হাজার দুইশ পাউন্ড জরিমানাও করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আগামী দুই বছর পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠনের (পিসিএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার ও বৈষম্য-বিরোধী সব ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে বলা হয়েছে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে রবিনসনের আন্তর্জাতিক পথচলা শুরু। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অভিষেক রাঙান এই পেসার; ম্যাচে নেন ৭ উইকেট।
তার টেস্ট অভিষেকের দিন থেকেই বিতর্কের শুরু। বল হাতে যখন তিনি নজর কাড়া পারফরম্যান্স করছিলেন, তখনই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে তার পুরনো কিছু টুইট। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত তার সেসব টুইটে ছিল সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুসলিমদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত, এশিয়ান বংশোদ্ভূত ও নারীদের প্রতি ছিল অবমাননাকর মন্তব্য।
রবিনসনের বয়স তখন ছিল ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। সেই সময়টায় তিনি খেলছিলেন লেস্টারশায়ার, কেন্ট ও ইয়র্কশায়ারের দ্বিতীয় দলের হয়ে।
এরপর অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন রবিনসন। তবে লাভ হয়নি তাতে। প্রথম টেস্টের পরই তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে ইসিবি। রবিনসন নিজেই স্বীকার করে নেন ভুল। শুনানি শেষে এবার পেলেন শাস্তি।