তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নেতৃত্ব দিলেন না মোহামেডানকে। পারলেন না ব্যাটে-বলে প্রত্যাবর্তন রাঙাতেও। তাদেকে উড়িয়ে প্রাথমিক পর্ব শেষ করল গাজী গ্রুপ।
Published : 17 Jun 2021, 10:51 PM
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয় ৭ উইকেটে।
সাকিব ফিরলেও নেতৃত্ব দেওয়া শুভাগত হোমের দারুণ ক্যামিওতে মোহামেডান ২০ ওভারে তোলে ১৪৯ রান। গাজী গ্রুপের রান তাড়ায় ২ ওভার শেষে বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে তাদের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৪ ওভারে ১১৬। ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ১৭ বল বাকি রেখেই।
মোহামেডানের হয়ে তিনে নেমে সাকিব আউট হন ১৬ বলে ১০ রান করে। পরে ৩ ওভারে ২৪ রানে নেন ১ উইকেট।
ভীষণ হতাশার লিগ সাকিব শেষ করলেন ৮ ম্যাচে মোটে ১২০ রান আর ৯ উইকেট নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাবেন বলে সুপার লিগে খেলবেন না এই অলরাউন্ডার।
দুই দলের অনেক তারকার ভীড়ে ম্যান অব দা ম্যাচ মহিউদ্দিন তারেক। চলতি লিগেই অভিষিক্ত গাজী গ্রুপের তরুণ পেসার ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। আগের দুই ম্যাচেও তার শিকার ছিল পাঁচটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানকে প্রথম ধাক্কা দেন তারেকই। ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল হাসানকে। আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ ১৪ বলে ২০ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহর বলে।
সাকিব বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে কাটিয়েও পাননি ছন্দ। তারেক দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে দেখা পান কাঙ্ক্ষিত এই উইকেটের।
মোহামেডানের মিডল অর্ডারেও কেউ পারেননি দলকে এগিয়ে নিতে। ধুঁকতে থাকা দলকে সাতে নেমে উদ্ধার করেন শুভাগত। ৬ চার ও ২ ছক্কায় তার ২০ বলে ৪২ রানের ইনিংস দলকে নিয়ে যায় দেড়শর কাছে।
তারেক নিজের শেষ ওভারে শুভাগত ও আবু হায়দারকে ফিরিয়ে স্বাদ পান চার উইকেটের।
শেষ ওভারে গাজী গ্রুপের কিপার আকবর আলির থ্রোয়ে পা দিয়ে বলে বাধা দিয়ে ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউট হন মোহামেডানের ইয়াসিন আরাফাত।
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা গাজী গ্রুপের তরুণ পেসার মহিউদ্দিন তারেক।
দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা মারেন সাকিবকে। পরের বলেই আবার একই চেষ্টায় তিনি হারান নিজের উইকেট, নিচু হওয়া বল আঘাত করে স্টাম্পে। বৃষ্টি-বিরতির পর প্রথম ওভারে বিদায় নেন সৌম্য।
তবে ইয়াসির দলকে চাপে পড়তে দেননি। মুমিনুল হকের সঙ্গে তার দারুণ জুটি দলকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। ৬৫ রান যোগ করেন দুজন ৪৪ বলে।
২৫ বলে ৪৫ রান করে ইয়াসির আউট হন আবু হায়দারের বলে কাট শট খেলে। পরে মাহমুদউল্লাহর দুই বাউন্ডারিতে জয় ধরা দেয় অনায়াসেই। মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৮ করে।
১১ ম্যাচের গাজীর এটি সপ্তম জয়। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ অভিযান শুরু করবে তারা পয়েন্ট তালিকার চারে থেকে। মোহামেডান সুপার লিগ শুরু করবে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মোহামেডান: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (মজিদ ২০, মাহমুদুল ২, সাকিব ১০, শামসুর ১৯, ইরফান ১৮, নাদিফ ২৩, শুভাগত ৪২, আবু হায়দার ২, ইয়াসিন ২, আসিফ ৪*; মেহেদি ৩-০-২৪-০, নাসুম ৪-০-২৩-১, তারেক ৪-০-২৯-৪, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-১৯-২, মুকিদুল ৪-০-৩৪-১, মুমিনুল ১-০-১৫-০)।
গাজী গ্রুপ: (লক্ষ্য ১৪ ওভারে ১১৬) ১১.১ ওভারে ১১৬/৩ (মেহেদি ১৫, সৌম্য ১৪, মুমিনুল ২৮*, ইয়াসির ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ১১*; ইয়াসিন ১-০-১৮-০, সাকিব ৩-০-২৪-১, মাহমুদুল ৩-০-২৩-১, শুভাগত ১-০-৮-০, আসিফ ১-০-১০-০, আবু জায়েদ ১.১-০-২২-০, আবু হায়দার ১-০-১০-১ )।
ফল : ডিএলএস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয়ী গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
ম্যান অব দা ম্যাচ : মহিউদ্দিন তারেক।