আগের ম্যাচে কোনো ইনিংসেই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ব্যর্থতা পেছনে ফেলে আরিফুল হক এবার খেললেন কার্যকর ইনিংস। ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও রংপুর বিভাগকে বড় লিড এনে দিয়েছেন অধিনায়ক আরিফুল।
Published : 30 Mar 2021, 06:33 PM
বড় ব্যবধানে পিছিয়ে দিনের শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমেও ভালো করতে পারেনি খুলনা বিভাগ। প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর ১ উইকেটে ৪ রান নিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে দলটি। এখনও ১৩৯ রানে পিছিয়ে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম স্তরের দ্বিতীয় রাউন্ডে মঙ্গলবার রংপুরের প্রথম ইনিংস থামে ৩৬৪ রানে। পায় ১৪৩ রানের লিড। ১৬৪ বলে ৯৭ রান করেন রংপুরকে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া আরিফুল। প্রথম রাউন্ডের সেঞ্চুরিয়ান নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। খুলনার মাসুম খান নেন ৪ উইকেট।
রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে ৩ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে স্বাগতিকরা। আগের দিন ২৯ রানে অপরাজিত তানবীর হায়দার ফেরেন ২ রান যোগ করেই। দিনের দ্বিতীয় ওভারে তাকে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাসুম।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন নাসির ও আরিফুল। ১৯ রানে দিন শুরু করা নাসির ফিফটিতে পা রাখেন ১০১ বলে। তাকে এলবিডব্লিউ করে ১৩৫ বল স্থায়ী ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন রবিউল ইসলাম রবি। ১১৬ বলে ৯টি চারে সাজানো নাসিরের ৬৬ রানের ইনিংস।
আরিফুল ফিফটি তুলে নেন ৮৯ বলে। মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। মাহমুদুলকে এলবিডব্লিউ করে এ জুটিও ভাঙেন রবি। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় মাহমুদুল করেন ২৫ রান।
রংপুর এরপর ইনিংসের সেরা জুটি পায় আরিফুল ও ধীমান ঘোষের সৌজন্যে। এই দুজনের ব্যাটে দলের স্কোর ছাড়ায় তিনশ। ধীমানের রান আউটে ভাঙে ১৪৯ বলে ৮৩ রানের জুটি। ৮২ বলে ৮টি চারে কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৪৩ রান।
আরিফুল এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। কিন্তু খুব কাছে গিয়ে মাসুমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। ১৬৪ বলে ১১ চারে ৯৭ রানের ইনিংসটি সাজান ২৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
রংপুরের সংগ্রহ সাড়ে তিনশ পার হয় রিশাদ হোসেন (১৫) ও সাজেদুল ইসলামের (২১) ব্যাটে। সাজেদুলকে বোল্ড করে তাদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মাসুম।
খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও হয় ঠিক প্রথম ইনিংসের মতোই। প্রথম বলে রবিকে কট বিহাইন্ড করে ফেরান মুকিদুল ইসলাম। প্রথম দিনও মুকিদুলের প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন রবি। দুই ইনিংসেই তিনি পেলেন গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ! ক্রিকেটের পরিভাষায় যেটিকে বলে ‘কিং পেয়ার’।
দুই ইনিংস মিলিয়ে মুকিদুলের উইকেট হলো ৭টি।
আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার সময় অমিত মজুমদার শূন্য ও ইমরুল ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ৪৯.২ ওভারে ২২১
রংপুর ১ম ইনিংস: ৯৭.১ ওভারে ৩৬৪ (তানবীর ৩১, নাসির ৬৬, আরিফুল ৯৭, মাহমুদুল ২৫, ধীমান ৪৩, রিশাদ ১৫, সাজেদুল ২১; হালিম ২৩-২-৮৮-২, মাসুম ২২.১-৪-৭৮-৪, জিয়াউর ২৩-৩-৮৬-১, নাহিদুল ১-০-৫-০, মিনহাজুর ৭-০-৩৭-০, রবি ১২-১-৪১-২, টিপু ৯-০-২৩-০)
খুলনা ২য় ইনিংস: ১.৩ ওভারে ৪/১ (রবি ০, অমিত ০*, ইমরুল ৪*; মুকিদুল ১-০-৪-১, ০.৩-০-০-০)