নিউ জিল্যান্ডে যেমন কাটছে মিরাজদের সময়

নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে অক্ষরে-অক্ষরে নিয়ম মেনে চলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কঠিন পরীক্ষার সাত দিনের পাঁচ দিন কেটে গেছে এরই মধ্যে। বাকি দুটি দিন ভালোভাবে কাটিয়ে জিম ও অনুশীলন করতে মুখিয়ে আছেন তারা। মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, মহামারীকালে নিজেদের প্রথম সফর কেমন কাটছে তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2021, 10:20 AM
Updated : 28 Feb 2021, 10:20 AM

তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছায় ৩৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল। রোববার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় অলরাউন্ডার মিরাজ জানান, সবাই নিজের মতো করে সময় কাটানোর পথ বের করে নিয়েছেন।

“বুঝতেই পারছেন কেমন কাটছে। এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। প্রথম তিন দিন তো কারও সাথে দেখাই হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ‘রুম টু রুম’ ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি)। প্রথমদিকে বোরিং লাগছিল, সময় কাটছিল না। এখন যেহেতু পাঁচ দিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিন দিন কেটে যাবে।”

নিউ জিল্যান্ডের কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুযায়ী প্রথম তিন দিন একাই থাকতে হয়েছে সফরকারীদের। সেই সময়টায় মিরাজের মনে হচ্ছিল, যেন জেলখানায় আছেন।

“প্রথম তিন দিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধাঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। গত কাল আমি যখন প্রথম বের হলাম, শুরুর দিকে মাথা একটু ঘোরাচ্ছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে যায়।”

“তিন দিন যে ঘরের ভেতর বন্দি ছিলাম, আমার মনে হয়েছে যেন জেলখানায় আছি। পরে যখন বাইরে বেরিয়ে এলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলাম, তখন একটু ভালো অনুভব করলাম। যখন রুমে গেছি, তখন নিজেকে একটু ফ্রেশ মনে হয়েছে।”

নিউ জিল্যান্ডে প্রথম তিন দিনের ঘরবন্দি জীবন শেষে প্রতিদিন আধাঘণ্টা বাইরে বেরুনোর সুযোগ পান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ছবি: বিসিবি

আপাতত আধ ঘণ্টার জন্য মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়াটা বেশ উপভোগ করছেন, তবে জিম, অনুশীলনের জন্য মুখিয়ে আছেন মিরাজরা। 

“সারাদিন রুমে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। দেখেন তিন-চারদিন রুমে কাটানো, একইভাবে... এটা আসলে একটু আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে যাই।”

“যখন আমরা জিম ও মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে। এখন হয়তো সময়টা কাটছে না। জিম যদি ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু সুযোগ নেই, দুই-তিনদিন পর শুরু হবে...আশা করি তখন ভালো হবে।”