সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এখন বড় ভরসা অ্যাডাম জ্যাম্পা। মাঝের ওভারগুলোয় দলকে উইকেট এনে দিচ্ছেন নিয়মিত। কিন্তু একটি জায়গায় নিজের উন্নতির তাগিদ তিনি অনুভব করছেন প্রবলভাবে। শেষের ওভারগুলোয় বোলিংয়ে এবারের আইপিএলে নিজেকে শাণিত করতে চান এই লেগ স্পিনার।
Published : 15 Sep 2020, 11:15 AM
ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের সিরিজে যথারীতি সফল হয়েছেন জ্যাম্পা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৭ উইকেট। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার বোলিং বিশ্লেষণ বেশ বিবর্ণ হয়ে গেছে শেষের ওভারের পারফরম্যান্সে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৮তম ওভারে বল করেছিলেন জ্যাম্পা। চাপে থাকা ইংল্যান্ড দাভিদ মালানের সৌজন্যে ওই ওভারে তুলে ফেলে ২২ রান। পরে অস্ট্রেলিয়ার ২ রানের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখে ওই ওভার। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের যখন প্রয়োজন ২ ওভারে ১৮, বোলিংয়ে আসেন জ্যাম্পা। এবার জস বাটলার ও মইন আলি মিলে ৫ বলেই তুলে নেন ওই ১৮ রান।
এরপর প্রথম ওয়ানডেতেও ৪০ ওভারের পরে করা তার দুই ওভার থেকে এসেছে ১৮ রান। অথচ স্লগ ওভারের আগ পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স সব ম্যাচেই ছিল বেশ ভালো।
জ্যাম্পা অবশ্য এসবে ভড়কে যাচ্ছেন না। একজন স্পিনারের জন্য, বিশেষ করে লেগ স্পিনারের জন্য স্লগ ওভারে বোলিং করা এই যুগে অনেক কঠিন। ২৮ বছর বয়সী লেগ স্পিনার সোমবার ম্যানচেস্টারে বললেন, তবু তিনি সাহসী এখানে নিজেকে মেলে ধরতে।
“শেষ দিকে বোলিং করতে আমি সত্যিই উপভোগ করি। ওই চাপের মুহূর্তগুলো, বিশেষ করে ম্যাচের ভাগ্য যখন দুলছে, এই সময়ের চ্যালেঞ্জ ভালো লাগে।
“দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যখন ওদের ২ ওভারে ১৮ লাগে, আমি গিয়ে ফিঞ্চিকে (অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ) বলেছি, আমার বোলিং করা উচিত। অবশ্যই পরিকল্পনা মতো করতে পারিনি, তবে তাতে নিজের মানসিকতা বদলাচ্ছি না আমি।”
এখানে নিজেকে আরও ধারাল করতে তিনি তাকিয়ে আছেন সামনের আইপিএলে। যদিও তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে আরেকজন লেগ স্পিনার আছেন, ভারত ও বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ পারফর্ম করে যাওয়া যুজবেন্দ্র চেহেল। জ্যাম্পা তবু আশাবাদী দলে জায়গা পেতে ও দুই লেগ স্পিনারের জুটি গড়তে।
“বেঙ্গালুরুর হয়ে চেহেলের সঙ্গে বোলিং করার ভালো সুযোগ পাচ্ছি এবং দলের গঠনের কারণেই শেষের ওভারগুলোয় বোলিং পেতে পারি আমি। আরেকজন লেগ স্পিনারের সঙ্গে বোলিং করতে আমি সত্যিই উপভোগ করি। চেহেলের সঙ্গে বোলিং করতে ভালোই লাগবে। আমাদের দক্ষতার জায়গা প্রায় একই, তারপরও পরস্পরকে দেখে শিখতে পারি।”