গাভাস্কারের অবসরের পর ১৯৮৮ সালে সেই সময়ের বোম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান শেষরাও কৃষ্ণারাও ওয়াংখেড়ে প্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গারওয়ারে প্যাভিলিয়নের সামনের সারিতে দুটি আসন সম্মানসূচক বরাদ্দ করা হয় গাভাস্কারের নামে। পাশাপাশি কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ও ব্যবসায়ী রতন টাটাকেও সম্মান জানানো হয় দুটি করে আসন রিজার্ভ রেখে।
পরে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে সংস্কারের পর বদলে যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসন পদ্ধতি, অনেক আসন কমেও যায়। গাভাস্কারদের নামে বরাদ্দ আসনগুলিও আর থাকেনি।
এতদিন পর আবার সেই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হলো। মুম্বাইয়ের সন্তান গাভাস্কারের জন্মদিন শুক্রবার। তার আগের দিনই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ওই তিনজনের সম্মানে বরাদ্দকৃত আসনগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বক্সে গাভাস্কারের জন্য স্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে আরও দুটি আসন।
সর্বকালের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানদের একজন গাভাস্কার জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে তিনি জন্মদিন পালন করবেন না।
“ মহামারীর এই সময়ে যখন অনেক প্রাণ ঝরে গেছে এবং নিরাপদে থাকাই গুরুত্বপূর্ণ, এসবের মধ্যে জন্মদিনের কোনো উৎসব হবে না। এই সময়টায় প্রয়োজন অন্তর্দর্শন। স্রষ্টা ও জীবন আমাকে ভালো অনেক কিছুই দিয়েছে, এজন্য আমি আমার পরিবার ও শুভানুধ্যায়ী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।”