জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় টেস্টে ব্যাটে ৪৭৪ রানের সঙ্গে বল হাতে ২৬ উইকেট নেওয়া সাকিব এবার দলে নেই। দেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের বড় হুমকি হতে পারতেন তিনি। তবে এবার তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজদের নিয়েও সতর্ক সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
“সাকিব বড় ক্রিকেটার। আমরা শেষবার এখানে খেলতে আসার পর থেকে বাংলাদেশ দলে অনেক ক্রিকেটার খেলেছে। সাকিবকে ছাড়াও বাংলাদেশ কম শক্তিশালী নয়। তাই স্পিনারদের খেলার সময় আমাদের কাজটা যথাযথ করতে হবে। এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তবে আশা করছি ভালো পারফরম করব।”
স্বাগতিকদের ১৬ সদস্যের দলে পাঁচ পেসারের সঙ্গে আছেন তিন স্পিনার। এই সিরিজে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানে না যাওয়া অভিজ্ঞ মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন দলে। তবে বাংলাদেশ দলের চেয়ে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
“বাংলাদেশ সব সময়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের স্কোয়াডের কথা চিন্তা না করে নিজেদের ভালো খেলার দিকে নজর দিচ্ছি। মনোযোগ দিচ্ছি আমাদের শক্তির দিকে এবং মাঝে কী করতে হবে তার দিকে।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে নিজেদের পাতা ফাঁদে ডুবেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে সিলেট টেস্টে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে হেরেছিল তারা। সিলেটের সেই টেস্টের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতা একমাত্র টেস্টের মতো আগামী শনিবার শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেও সবকিছু সঠিকভাবে করতে চায় দলটি।
“বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই টেস্ট জয়ের দিকে তাকাতে হবে; কিভাবে আমরা খেলেছিলাম এবং জিতেছিলাম। সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলা কঠিন। আমাদের শুধু নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা আবারও কাজটা যথাযথভাবে করছি এবং আশা করছি, এবারও ভালোভাবে শেষ করতে পারব।”