১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে ক্রিকেটাররা

নানান ইস্যুতে চাপা ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারই বিস্ফোরণ ঘটলো এবার। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক বাড়ানো, ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো সহ মোট ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2019, 09:29 AM
Updated : 21 Oct 2019, 02:41 PM

মিরপুর একাডেমি মাঠে সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমসহ আরও অনেক ক্রিকেটার।

ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন ৬০-এর বেশি ক্রিকেটার। তাদের প্রতিনিধি হয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছেন ১০ জন।

সব দাবি-দাওয়া জানানো শেষে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব, "আমরা জানি যে সব ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে আছেন। যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই দাবিগুলো পূরণ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্রিকেটের কোনো কার্যক্রমে জড়িত থাকতে চাচ্ছি না।"

"জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এই ধর্মঘটের অন্তর্ভূক্ত এবং সেটা আজ থেকেই। জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বলেন, জাতীয় দলের প্রস্তুতি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলেন সবগুলোই এর অন্তর্ভূক্ত।"

সাকিবের এই ঘোষণার সময় তুমুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানান উপস্থিত ক্রিকেটাররা।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ আছে, তাদেরকে তাই এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হয়নি। আর খুব বেশি সময় হাতে ছিল না বলে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সাকিব। তবে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করলে, তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন সাকিব।

ক্রিকেটারদের এই ঘোষণার পর আগামী ২৪ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড এবং ২৫ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্প কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল।

বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধম্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা সাকিবের। তবে দাবি মানতে হবেই, সেটিও জানিয়ে রাখলেন।

"আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই সবকিছুর সমাধান হবে। দাবিগুলো যখন মানা হবে তখন আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাব।"

"আমরাও সবাই চাই ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে ক্রিকেটারদের কেউ তিন-চার বছর খেলবে, কেউ দশ বছর আছে। যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের জন্য আমরা একটা ভালো পরিবেশ রেখে যেতে চাই যেখান থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে।"

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি

নানা অভিযোগ, বঞ্চনা নিয়ে ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা ছিল অনেক দিন ধরেই। গত কিছুদিন থেকে সেটি সংঘবন্ধ রূপ নিতে থাকে। ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করেছেন করণীয়।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একটি সংগঠন আছে বটে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াব। তবে তাদের দৃশ্যত কোনো কার্যক্রম নেই। সংগঠনের সভাপতি সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান একই সঙ্গে বিসিবি পরিচালকও। সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদও বিসিবি পরিচালক। ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষার কিছুই এই সংগঠন দিয়ে হচ্ছিল না।

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির শুরুতেই তাই থাকল কোয়াব নিয়ে কথা।

দাবি ১

প্রথম দাবি উপস্থাপন করেন সিনিয়র ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম।

“আমরা আপনাদের সামনে এসেছি, কারণ ক্রিকেটারদের কিছু সমস্যা আছে, কিছু দাবি-দাওয়া আছে যা আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানাতে চাই।“

“প্রথমত বলতে চাই সম্মানের ব্যাপার। আমাদের মনে হয়, ক্রিকেটার হিসেবে যে সম্মান আমাদের প্রাপ্য, আমার মনে হয় না আমরা তা পাই।“

“‘আর আমাদের যে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন আছে, কোয়াব, তারা ক্রিকেটারদের পক্ষে কথা বলবে, সেটির কোনো কিছু আমরা তাদের কার্যক্রমে পাইনি। আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে, কোয়াবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, যারাই আছেন, তাদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। যেহেতু এটা প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, আমরা ক্রিকেটাররাই নির্বাচনের মাধ্যমে পছন্দ করব, কারা এখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হবেন।”

দাবি ২

দ্বিতীয় দাবি উপস্থান করেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ।

“দ্বিতীয় দাবি, আপনারা সবাই জানেন, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরিস্থিতি কেমন।  যেভাবে এই লিগ হচ্ছে, তাতে সব ক্রিকেটারই অসন্তুষ্ট। এখানে পারিশ্রমিকের একটি মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অনেক সীমাবদ্ধতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা যেভাবে আগে প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম, যেভাবে ক্রিকেটাররা ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিল করতেন, যেভাবে নিজেদের পারিশ্রমিক নিয়ে এবং কোন ক্লাবে খেলবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, আমাদের দাবি, প্রিমিয়ার লিগ যেন আগের মতো করে আমরা ফিরে পাই।’

দাবি ৩

তৃতীয় দাবির কথা জানালেন আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

“আমাদের তৃতীয় দাবি বিপিএল সংক্রান্ত। এবার বিপিএল অন্যভাবে হচ্ছে, যেটিকে আমরা সম্মান করি। আমাদের মূল দাবি, আগের যে নিয়মে বিপিএল হচ্ছিল, সেটি যেন পরের বছর থেকে চলে আসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের সামঞ্জস্য যেন থাকে।”

“আমরা সবসময় দেখি যে বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের অনেক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, স্থানীয়দের ওভাবে দেওয়া হয় না। এটা অবশ্যই করতে হবে। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, বিশ্বের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়, যেখানে ক্রিকেটাররা ড্রাফটে নিজেদের গ্রেড নির্ধারণ করতে পারেন যে তারা কোন গ্রেডে থাকবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও এই অধিকার থাকা উচিত। তারপর নিলামে কেউ না থাকলে তাদের ব্যাপার। কিন্তু সম্মানটুকু ক্রিকেটারদের দেওয়া উচিত।”

দাবি ৪ ও ৫

চতুর্থ ও পঞ্চম দাবি উপস্থাপন  করেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যেখানে মিশে ছিল আসলে আরও কিছু দাবি।
 

“প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমাদের ম্যাচ ফি অন্তত ১ লাখ টাকা হওয়া উচিত। আমরা এই দাবি অবশ্যই জানাচ্ছি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন অনেক কম। সেটি অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে।”

“ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধা বাড়াতে হবে। জিম-মাঠ সবকিছু বাড়াতে হবে। ১২ মাসের জন্য কোচ-ফিজিও-ট্রেনার নিয়োগ দিতে হবে এবং তারাই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের একটি সিস্টেমের ভেতর নিয়ে আসবে, তাদের পরিকল্পনামতোই ক্রিকেটাররা কাজ করবে। এবং এটি প্রতিটি বিভাগে করতে হবে। আমরা চাই না সবাইকে সব ট্রেনিং সেশন ঢাকায় করতে হবে। অবশ্যই বিভাগীয় পর্যায়ে নিজেদের ঘরের মাঠে করবে সবাই, তাহলেই আমাদের ক্রিকেটের প্রসার হবে।”

“এটা হয়তো আজকেই হবে না। তবে পরের মৌসুমের আগে নিশ্চিত করতে হবে।”

“আরও কিছু ছোট ছোট ব্যাপার আছে, আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ও সংস্কৃতি বদলানোর জন্য যেগুলো জরুরি। যেমন বল। যেটা আমাদের অনেক বড় সমস্যা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমরা মানসম্মত বল পাই না। ওটা নিয়ে আমাদের অনেক ভুগতে হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আসার পর অন্য বলে আবার মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। এটা যেন না করতে হয়।”

“দৈনিক ভাতা মাত্র ১৫০০ টাকা। যে ফিটনেস দাবি করছে, তাতে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ভালো হোটেলে থাকতে হবে। যেখানে খাবার ও যে কোনো জিনিসের দাম বেশি। সেটা বিবেচনা করে যে পরিমাণ ভাতা ঠিক করলে ভালো হয়, সেটি যেন করা হয়।”

“ভ্রমণ ভাতা কেবল ২৫০০ টাকা। এখন যে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাবে খেলতে, তার তো বাসে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই! এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন ক্রিকেটাররা বিমান ভাড়া পায়। আর কোনো ভ্রমণ ভাতা দরকার নেই। বিমানের টিকেট বিভাগ করুক বা যে করুক, আমাদের আপত্তি নেই।”

“টিম হোটেলে জিম ও সুইমিংপুল অবশ্যই দরকার। কারণ চার দিনের ম্যাচে একজন ক্রিকেটারের অনেক কষ্ট হয়। দিন শেষে তার রিকভারির জন্য জায়গা থাকতে হবে। ওয়ান বা টু স্টার হোটেলে, কোনো রকমে শুধু রুম আছে, সেখানে সম্ভব নয়।”

“আরেকটি হলো টিম বাস। মাঠে যে ধরনের বাসে আমরা যাওয়া-আসা করি, তা খুবই হতাশাজনক। অন্তত এসি বাস বা যে বাস ক্রিকেটাররা কমফরটেবল থাকবে, সেরকম একটি বাসে যেন আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়।”

দাবি ৬

ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র জানিয়েছেন তাদের ষষ্ঠ দাবির কথা।

“জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা এখন অনেক কম, এটি ৩০ জন করা উচিত। করতে হবে এবং বেতন বাড়াতে হবে। তিন বছর ধরে বেতন বাড়ানো হয় না।”

দাবি ৭

ক্রিকেটারদের পরের দাবি উঠে এসেছে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের কণ্ঠে।

“শুরুতে যে সম্মানের কথা বলা হয়েছে, সেটি কিন্তু শুধু ক্রিকেটারদের জন্য নয়। একজন গ্রাউন্ডসম্যান, কত টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছে? সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে মাসে পায় ৫-৬ হাজার টাকা।”

“এরপর আসে কোচদের কথা। আমরা নিজেরাই দেশি কোচদের তুলে ধরতে চাই না। বিদেশি কোচা যত বেতন পায়, তাদের একজনের সমান হয়তো দেশের ২০ জন ক্রিকেটারের বেতন। এমনও দেখা গেছে, একটি সফরে দেশি কোচের কোচিংয়ে কোনো দল ভালো করেছে, পরের সফরেই সেই কোচ নেই।”

“আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা সবাই অভিযোগ করি। কিন্তু আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নিতে হলে তো জীবনের সুরক্ষা দিতে হবে আর্থিকভাবে! তা কি দেওয়া হয়?”

“ফিজিও-ট্রেনার, সবার ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য। তাই সঠিক সময় যেন আমরা দেশিদেরকে প্রাধান্য দেই।”

দাবি ৮

কিপার ব্যাটসম্যান এনামুল হক উত্থাপন করেন ক্রিকেটারদের অষ্টম দাবি।

“আমরা দুটি চার দিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট খেলি, জাতীয় লিগ ও বিসিএল। কিন্তু একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট কেবল একটি। শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আরেকটি টুর্নামেন্ট বাড়ানো উচিত। আগে জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচের পর একদিনের ম্যাচ হতো। জাতীয় লিগের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আমরা আবার খেলতে চাই। তাহলে এই সংস্করণে ম্যাচ আরও বেশি খেলতে পারব।”

“পাশাপাশি বিপিএলের বাইরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হওয়া উচিত, যেটি হতে পারে বিপিএলের আগ মুহূর্তে।”

দাবি ৯

নবম দাবি তুলে ধরেন আরেক কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।

“ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার থাকতে হবে। সেটি থাকলে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারব।”

দাবি ১০

পরের দাবিটির কথা জানান ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিক।

“বিপিএল ও প্রিমিয়ার লিগের পাওনা টাকা যেন আমরা সময়মতো পাই। শেষবারের লিগ থেকে, আমরা ব্রাদার্স ইউনিয়নে যারা খেলেছি, এখনও ৪০ ভাগ টাকা পাইনি। বোর্ডে অনেকবার যাওয়া হয়েছে, কোয়াবকে অনেকবার বলা হয়েছে। বারবার আসা-যাওয়া ক্রিকেটারদের জন্য আসলে দৃষ্টিকটু। আমরা আশা করব, যে সময়টি দেওয়া থাকবে, সে সময়ের মধ্যেই যেন টাকা শোধ করা হয়।”

দাবি ১১

একাদশ দাবিটি উঠে আসে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার কণ্ঠে।

“ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ক্ষেত্রে দুটির বেশি টুর্নামেন্টে খেলতে না দেওয়ার একটি নিয়ম আছে। কিন্তু জাতীয় দলের খেলা না থাকলে যদি খেলতে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা খেলতে পারব ও অনেক কিছু শিখতেও পারব।”

এবং আরেকবার সাকিব

সবার দাবি উত্থাপন শেষে আরেকবার মাইক্রোফোনের সামনে এলেন সাকিব। তুলে ধরণের ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।

“এখানে যেহেতু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে বেশি কথা হচ্ছে, আমাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগের মান আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ম্যাচে যাওয়ার আগেই অনেক দল জেনে যায় যায় যে কোন দল জিতবে, কোন দল হারবে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটি ঠিক করা খুবই জরুরী।”

“ভালো বলে একজন ক্রিকেটার আউট হেতই পারেন। কিন্তু পরপর তিন ম্যাচে  কেউ যদি বাজে বলে আউট হয়ে যায়, তার পর একটা ভালো বলে আউট হয়ে গেল, তার ক্যারিয়ার ওখানেই শেষ। একজন ক্রিকেটারকে উঠে আসতে হলে, আমাদের পাইপলাইন ভালো করতে হলে, এই জায়গাটা ঠিক করতে হবে।”