বাংলাদেশ ক্রিকেটে কাজ করতে আশা বিদেশি কোচদের ক্ষেত্রে বরাবরই একটি বড় সমস্যা ভাষার দূরত্ব; বিশেষ করে কোচ উপমহাদেশের বাইরের কেউ হলে। রাসেল ডমিঙ্গো, শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টদের জন্যও এটি হবে বড় এক চ্যালেঞ্জ। ল্যাঙ্গাভেল্ট অবশ্য সেই সমস্যা সমাধানের পথ ভেবেই এসেছেন। ভাষার দূরত্বকে ক্রিকেটীয় যোগাযোগের অন্তরায় হতে দিতে চান না বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ।
Published : 21 Aug 2019, 07:13 PM
সবশেষ বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ভাষার দূরত্ব প্রকট হয়েছিল বলে শোনা যেত প্রায়ই। ওয়ালশ হয়তো বোলারদের মিটিংয়ে লম্বা সময় কথা বলে যেতেন, মাঠেও অনুশীলনে বলতেন অনেক কিছু। কিন্তু তার জ্যামাইকান উচ্চারণের ইংরেজি বুঝতে গলদঘর্ম হতেন পেসারদের কেউ কেউ।
ভাষার দূরত্বের সঙ্গে অনেক সময়ই যোগ হয় মানসিক দূরত্ব। কিছু বুঝতে না পারলে সেটি আবার জিজ্ঞেস করা বা নিজ থেকে কোনো কিছু জানতে চাওয়ায় খুব একটা আগ্রহী থাকেন না পেসারদের অনেকে।
আফগানিস্তানে কিছু দিন কাজ করায় এই অভিজ্ঞতাগুলো আছে ল্যাঙ্গাভেল্টের। বাংলাদেশে তাই সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। কোনোভাবে ভাষার দূরত্বের দেয়াল দেখতে চান না নতুন বোলিং কোচ।
“এটা আফগানিস্তানেও একটা বড় বাধা ছিল। সেখানে দোভাষী ছিল। সেখানে দেখেছি, গ্রুপ ধরে আলোচনা করার চেয়ে আলাদা করে কথা বললেই ক্রিকেটাররা বেশি খোলামেলা কথা বলে। আফগানিস্তানের সেই অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে।”
“অভিজ্ঞতাটা আছে বলে আমি এখন জানি কিভাবে এগোতে হতে পারে। কেউ যদি কিছু বুঝতে না পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনোভাবে সেটি ব্যাখ্যা করতে পারি। হয়তো একটু ধীরে কথা বলতে হবে, খুব দ্রুত না বলে। পাশাপাশি সে কি বলছে, সেটি শোনাও জরুরি।”
পেসাররা যাতে নিজে থেকেই কথা বলতে, সমস্যা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়, সেজন্য ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো হওয়া জরুরি বলে মনে করেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। তার দুয়ার সবসময় খোলা রাখতে চান পেসারদের জন্য।
“ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করাও জরুরি। তারা যেটি নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে সেটা বলতে হবে। যদি পারিবারিক কথা বলেও খোলামেলা হওয়া যায়, সে চেষ্টা করতে হবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া জরুরি। আমার কাছে যেকোনো সময় যেন আসতে পারে, কিছু না বুঝলে যেন বলতে পারে, ‘তোমার কথা বুঝতে পারছি না, একজন দোভাষী কি রাখতে পারি?’ এসব যেন বলতে পারে, সেই সম্পর্ক থাকতে হবে। আমি জানি এটি চ্যালেঞ্জিং, তবে আমি চ্যালেঞ্জটি নিতে মুখিয়ে আছি।”