এবারের প্রিমিয়ার লিগটা কাটছে দুর্দান্ত। তারকা খচিত আবাহনীর ব্যাটিংকে টানছেন প্রায় একা। তবে দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার জহুরুল ইসলাম মনে করেন, এই মুহূর্তে জাতীয় দলের টপ অর্ডারে তার জায়গা নেই। তাই বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলছেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তবে যতদিন ক্রিকেট খেলবেন ততদিন জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাবেন ।
Published : 04 Apr 2019, 07:03 PM
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অপরাজিত ৯১ রানের লড়াকু এক ইনিংসে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনীকে এনে দেন ৪ উইকেটের জয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের জহুরুল জানান, বাস্তবতা মেনে বিশ্বকাপে থাকার কথা ভাবছেন না তিনি।
“জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন যতদিন ক্রিকেট খেলব ততদিনই দেখব। আমার জায়গায়, অর্থাৎ টপ অর্ডারে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, আমার মনে হয় ওরাই এই মুহূর্তে দেশের সেরা খেলোয়াড়। কারণ, স্কিলের দিক থেকে ওরা অনেক ভালো। ওরা ভালো করছে। আশা করব ওরা জায়গা মতো পারফর্ম করবে এবং বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাবে।”
এবারের আসরে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা জহুরুল জানান, ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণের চেয়ে দলের জয়ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ পাচ্ছে তার কাছে।
“এটা সেরা সময়, তা বলা যাবে না। অনেক দিন ক্রিকেট খেলছি, আমার ওপর ক্লাবেরও একটা আশা আছে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ প্লেয়াররাই আসলে ম্যাচ উইনার হয়। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, যদি ফর্মে থাকি তাহলে আমাকেই রান করতে হবে। একটা টুর্নামেন্টে সবাই রান করে না, যারা রানে থাকে তাদেরই দায়িত্ব নিতে হয়।”
চোটের জন্য একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি জহুরুল। দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে আট ম্যাচে ৮৭ গড়ে করেন তিনি করেন ৫২২ রান। তিনি ছাড়া এবারের আসরে আর কেউ পাঁচশ করতে পারেননি। চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারার খুশিটাই জহুরুলের কাছে সবচেয়ে বড় আনন্দের।
“আসলে যখন খুব ভালো সময় যায়, তখনই আমি বেশিরভাগ সময় চোট পাই। বিসিএল খুব ভালো যাচ্ছিল। পরে বিপিএলের নয় দিন আগে কব্জি ভেঙে যায়। ওই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচ খেলার পর ধরা পড়া কব্জির চিড় সেরে উঠেনি। পরে আমি প্লাস্টার করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কিছু দিন আগে প্লাস্টার খুলি।”
“ওই চোটের জন্য লিগের শুরুতে আমার শট সীমিত ছিল। ধীরে ধীরে আমার শটগুলো এসেছে। এই সময়ে আমি বেসিক নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সব সময় নিজেকে বলেছি, টেম্পারমেন্ট হারানো যাবে না।”