দ্রুত কিছু রান তোলার আশায় ছিলেন শুভাগত হোম চৌধুরী। নিজের ওপর আস্থা ছিল, মেটাতে পারবেন সময়ের দাবি। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে গিয়ে যে রেকর্ড গড়ে ফেলবেন অতটা ভাবেননি এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। জানালেন, দলের প্রয়োজনে মেরে খেলতে গিয়েই হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
Published : 26 Feb 2019, 04:47 PM
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিপক্ষে ২২ রানে জেতা ম্যাচে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন ম্যাচ সেরা শুভাগত। তিনি ক্রিজে যাওয়ার পর ৪ ওভার ৪ বলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব যোগ করে ৮৩ রান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুভাগত জানান, বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের নেটে বাঁহাতি পেসার কাজী অনিককে খেলার অভিজ্ঞতা থাকাটা খুব সহায়ক ছিল।
“জানতাম কাজী অনিক স্লোয়ার মারবে, তাই তৈরিই ছিলাম। সেগুলো কাজে লাগাতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। আরও বেশি ভালো লাগছে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারায়। সময়ের দাবি মেটানোর চেষ্টাতেই হয়ে গেছে রেকর্ড।”
শুভাগতর ছয় ছক্কার পাঁচটিই আসে তরুণ অনিকের বল থেকে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১০ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন শুভাগত। দুই ম্যাচেই তার জন্য পরিস্থিতি ছিল একই, মারতে হতো প্রথম বল থেকেই।
“কাল পরিস্থিতি ছিল এমন যে প্রতি বলে বলেই বাউন্ডারি দরকার ছিল। সেই চেষ্টাই করেছিলাম, ভাগ্য ভালো ছিল হয়ে গেছে। ব্যাটে বলে ভালো লাগছিল।”
“আর মাঠে খেলার সময় তো রেকর্ডের চিন্তা থাকে না। আজকেও রান বাড়ানোর তাড়া ছিল। যখন ক্রিজে যাই তখন চার-পাঁচ ওভার ছিল বাকি। ট্রাই করছিলাম বড় শট খেলার। হয়ে গেছে।”
ব্যাটিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনে সাফল্য পাচ্ছেন শুভাগত। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের আশা, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ধরে রাখতে পারবেন ধারাবাহিকতা।
“আগে ব্যাটিং নড়াচড়া একটু বেশি করতাম। এখন চেষ্টা করি স্থির হয়ে ব্যাট করতে। শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে খেলার চেষ্টা করছি। যে পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করছি সে সময় গেম প্ল্যানিংয়ের কিছু থাকে না। ৪/৫ ওভার বাকি থাকলে, একটাই পরিকল্পনা থাকে যে, মারতে হবে।”