ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তরুণ এই অফ স্পিনার মনে করছেন, টানা ভালো বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
Published : 14 Dec 2018, 09:21 PM
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন মিরাজ। দুইশ রানের নিচে সফরকারীদের থামিয়ে বাংলাদেশ জেতে ৮ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানান, অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারায় বেশি ভালো লাগছে তার।
“উইকেট এমন ছিল যে, প্রথম দিকে স্পিনাররা সহায়তা পাবে। মাশরাফি ভাই আমাকে এক প্রান্ত দিয়ে টানা আট ওভার বোলিং করিয়েছিলেন। পরে ফিরে দুইটা ‘ব্রেক থ্রু’ দিতে পেরেছিলাম। এটা করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।”
“আজকের ম্যাচে শেষে যে দুইটা উইকেট পেলাম তার আগে মাশরাফি ভাই আর মুশফিক ভাই আলোচনা করছিলেন। তাদের মনে হয়েছিল, এই সময়ে মিরাজ যদি বোলিং করে ও ভালো করবে। তাদের এই ভাবনা ঠিক প্রমাণ করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।”
ওয়ানডেতে বোলিংয়ের মূল সূত্রটা এখন ধরতে পেরেছেন মিরাজ। তাই সামনে এমন আরও অনেক সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
“ওয়ানডেতে আমি ধারাবাহিক ছিলাম না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে আমি টানা খেলছি। আমার মনে হয়, ওয়ানডেতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান চেক দিয়ে বোলিং করা। যদি রান চেক দিয়ে বোলিং করি তাহলে কিন্তু দলের অধিনায়ক আমার ওপর আস্থা রাখবে। আমি সেই চেষ্টা করেছি।”
“আমাকে মাশরাফি ভাই, মুশফিক ভাই সব সময় বলে, এই সংস্করণে আঁটসাঁট বোলিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় আঁটসাঁট বোলিং করে যাওয়ার কারণেই হয়তো আজকে চারটা উইকেট পেয়েছি। তারা আমাকে সব সময় বলেন, টানা যদি চাপটা ধরে রাখা যায় উইকেট আসবেই।”
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে যতবার শিমরন হেটমায়ারকে বোলিংয়ের সুযোগ হয়েছে ততবারই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন মিরাজ। মনোযোগে এগিয়ে থাকাতেই হয়তো এতবার হেটমায়ারের উইকেট পেয়েছেন তিনি।
“ও যখন ব্যাটিংয়ে আসে তখন হয়তো আমি বেশি সিরিয়াস থাকি। ও আমার বলে আউট হচ্ছে বলে আমি ওকে ক্যাজুয়ালি নেই না। আমি আরও বেশি সিরিয়াস থাকি। ভাবি যে, ও হয়তো আমার ওপর চড়াও হতে পারে। তাই ও যখন ব্যাটিংয়ে নামে আমার ফোকাস তখনও আরও বেড়ে যায়। হয়তো ও এখানে একটু পিছিয়ে থাকে বা আমি একটু এগিয়ে থাকি।”
ওয়ানডেতে নতুন বলে বোলিং দারুণ উপভোগ করেন মিরাজ। তার মতে, বাউন্ডারি বলগুলো এড়াতে পারলে এই সংস্করণে নতুন বলেই উইকেটের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
“শুরুতে বোলিং করা একটু কঠিন। মাত্র দুই জন ফিল্ডার বাইরে থাকে। ওই খানে কিন্তু একটু এদিক-সেদিক হলে বাউন্ডারির সম্ভাবনা বেশি থাকে।”
“আমার শুরুর দিকে বোলিং করতে ভালো লাগে। এই সময়ে ভালো জায়গায় বোলিং করলে কিন্তু সুযোগও বেশি থাকে উইকেট পাওয়ার। ডট বল খেলানোরও সুযোগ বেশি থাকে। ওই সময় এক রান হোক, কোনো সমস্যা নাই কিন্তু বাউন্ডারি যেন না হয়। তাই চেষ্টা করি যদি আঁটসাঁট লাইনে জায়গায় বোলিং করে যাওয়ার।”