বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Published : 05 May 2024, 05:38 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩৮/৭
বাংলাদেশ:১৮.৩ ওভারে ১৪২/৪
৬ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
ওপরেরসারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় কিছুটা শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
১৩৯ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
ক্রিজে যাওয়া ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। কিন্তু আউট হওয়া কেউই ত্রিশ করতে পারেননি।
আরও একবার হতাশ করা লিটন কুমার দাস ২৩ রান করতে খেলেন ২৫ বল। ১৯ বলে ১৮ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান।
তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫ বলে করেন ১৬ রান। জাকের আলি আউট হন ১২ বলে ১৩ রানে।
একশর আগে ৪ উইকেট হারালেও আর বিপদ ঘটতে দেননি তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। ২৯ বলে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে জেতান তারা।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রান করেন হৃদয়। ২ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে করেন ২৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে:২০ ওভারে ১৩৮/৭ (গাম্বি ১৭, মারুমানি ২, আরভিন ১৩, রাজা ৩, মাডান্ডে ০, বেনেট ৪৪*, ক্যাম্পবেল ৪৫, জঙ্গুয়ে ২, এনডলোভু ৫*; শরিফুল ৪-০-২৬-১, মেহেদি ৪-০-১৮-১, তাসকিন ৪-০-১৮-২, সাইফ উদ্দিন ৪-০-৩৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)
বাংলাদেশ:১৮.৩ ওভারে ১৪২/৪ (লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, শান্ত ১৬, হৃদয় ৩৭*, জাকের ১৩, মাহমুদউল্লাহ ২৬*; এনগারাভা ৪-০-৩২-১, মুজারাবানি ৩.৩-০-১৯-০, এনডলোভু ৩-০-২৫-১, রাজা ৪-০-৩১-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৫-২)
ফল:বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
জিম্বাবুয়ের ব্যর্থ রিভিউ
ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টায় পরাস্ত তাওহিদ হৃদয়। বল জমা পড়ল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। তবে এর আগে ছুঁয়ে গেল হৃদয়ের প্যাড।
শব্দ শুনে রিভিউয়ের জন্য আগ্রহী হলেন মুজারাবানি। বোলারের আত্মবিশ্বাসে সায় দিলেন সিকান্দার রাজা। রিপ্লেতে দেখা গেল, হৃদয়ের পেছনে প্যাডে লেগেছে বল। তাই কট বিহাইন্ড হননি হৃদয়। এছাড়া অফ স্টাম্প লাইনের বাইরে হওয়ায় এলবিডব্লিউও হননি তিনি।
বৃথা যায় জিম্বাবুয়ের রিভিউ।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৬ রান। শেষ ৪ ওভারে করতে হবে আরও ৩৩ রান।
হৃদয় ১৮ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত।
জাকেরকেফেরালেন এনগারাভা
ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে রানের চাপ কমানোর চেষ্টা করছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকল না তাদের জুটি, বিদায় নিলেনজাকের।
রিচার্ড এনগারাভার বলে জায়গা বানিয়ে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হলেন ১ ছক্কায় ১২ বলে ১৩ রান করা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ভাঙল ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৪ রান। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন আর ৪৫ রান।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে ১৬ রানে খেলছেন হৃদয়।
১৭ মিনিট পরখেলা শুরু
দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে হারিয়ে গেল ১৭ মিনিট। তবে কোনো ওভার কাটা পড়েনি।
১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬২ রান। শেষ ১০ ওভারে করতে হবে আরও ৭৭ রান।
ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি।
ফের বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা
লিটন কুমার দাসের বিদায়ের পরপরই নামল বৃষ্টি। ফলে বন্ধ হয়ে গেল খেলা। এই দফায় বৃষ্টির মাত্রা আগের তুলনায় বেশি।
এবার জঙ্গুয়ের শিকার লিটন
জীবন পেয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না লিটনদাস। লুক জঙ্গুয়ের স্লোয়ার বল দূর থেকে ড্রাইভ করার চেষ্টায় পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি।
২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করতে ২৫ বল খেলেন লিটন।
১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬২ রান। শেষ ১০ ওভারে করতে হবে আরও ৭৭ রান।
ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি।
শান্তকে ফেরালেন জঙ্গুয়ে
কয়েক ওভার ধরে নড়বড়ে মনে হচ্ছিল লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। শেষ পর্যন্ত উইকেট হারিয়েই বসলেন শান্ত। লুক জঙ্গুয়ের বলে ছক্কার চেষ্টায় লং অনে রায়ান বার্লের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
একটি ছক্কায় ১৫ বলে ১৬ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। ২৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত লিটন।
৯.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬১ রান। বাকি ৬৩ বলে করতে হবে আর ৭৮ রান।
জীবন পেলেন লিটন
সিকান্দার রাজার বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন লিটন কুমার দাস। লং অনে তার ক্যাচ ছেড়ে দিলেন লুক জঙ্গুয়ে। তখন ২১ রানে ছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৯ রান। জয়ের জন্য ৬৬ বলে প্রয়োজন ৮০ রান।
লিটন ২২ বলে ২২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩ বলে ১৫ রানে খেলছেন।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন লিটন
পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারাতে পারত বাংলাদেশ। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন লিটন কুমার দাস।
সিকান্দার রাজার বল অন ড্রাইভ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। বল প্যাডে লাগতেই জিম্বাবুয়ের জোরাল আবেদন। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ঠিকঠাক। কিন্তু উইকেট এর বেলায় আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেওয়ায় বিপদ ঘটেনি লিটনের।
একই ওভারের পঞ্চম বলে অল্পের জন্য শর্ট কভার ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৪ রান। লিটন ২০ বলে ২০ ও শান্ত ৩ বলে ২ রানে খেলছেন।
তানজিদকেফেরালেন এনডলোভু
আইনস্লি এনডলোভুর প্রথম ওভারে প্রথম ওভারেই ছক্কা মেরেছিলেন তানজিদ হাসান। পরের ওভারে আরেকটি ছক্কার খোঁজে উইকেট হারালেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার।
১টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ১৮ রান করে ফিরলেন তানজিদ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪১ রান। লিটন কুমার দাস ১৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত।
৫ মিনিট পর শুরু খেলা
বৃষ্টির মাত্রা বেশি ছিল না। তাই বেশিক্ষণ বন্ধ রাখতে হলো না খেলা। ৫ মিনিটের মধ্যেই আবার মাঠে নেমে পড়ল দুই দল।
বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা
ম্যাচের শুরু থেকেই আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। দ্বিতীয় ইনিংসে নামল বৃষ্টি। ফলে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ষষ্ঠ ওভারে বন্ধ হয়ে গেল খেলা।
খেলা থামার আগে ৫.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪ রান। তানজিদ হাসান ১৬ বলে ১৩ ও লিটন কুমার দাস ১৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত।
জয়ের জন্য ৯৫ বলে প্রয়োজন ১০৫ রান।
১৩৯ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আরও একবার নড়বড়ে শুরুর পর হাল ধরলেন ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথান ক্যাম্পবেল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিলেন ১৩৮ রানের পুঁজি।
স্রেফ ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষের ৯ ওভারে ২ উইকেটে করেছে আরও ৯৩ রান। অভিষেকে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে রেকর্ড গড়েছেন ক্যাম্পবেল। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বেনেট করেছেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪৪ রান।
বেনেট ও ক্যাম্পবেলের৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটির পরও অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্য খুব বেশি নয়। এতে বড় অবদান তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদি হাসানের। স্রেফ ১৮ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন। সমান রান খরচায় মেহেদি ধরেন ১ শিকার।
২ উইকেট পেলেও ৩৩ রান খরচ করে ফেলেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে ১৮ রান দেওয়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৪ ওভারে দেন ৩৭ রান। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা শরিফুল ইসলাম এদিন ২৬ রানে নিলেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে:২০ ওভারে ১৩৮/৭ (গাম্বি ১৭, মারুমানি ২, আরভিন ১৩, রাজা ৩, মাডান্ডে ০, বেনেট ৪৪*, ক্যাম্পবেল ৪৫, জঙ্গুয়ে ২, এনডলোভু ৫*; শরিফুল ৪-০-২৬-১, মেহেদি ৪-০-১৮-১, তাসকিন ৪-০-১৮-২, সাইফ উদ্দিন ৪-০-৩৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)
তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার জঙ্গুয়ে
তাসকিন আহমেদের স্লোয়ার শর্ট বলে বড় শটের খোঁজে লং অনে ক্যাচ দিলেন লুক জঙ্গুয়ে। ৩ বলে তিনি করলেন স্রেফ ২ রান। নিজের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে দ্বিতীয় উইকেট পেলেন তাসকিন।
১৮.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২০ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আইনস্লি এনডলোভু। ২৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ব্রায়ান বেনেট।
রেকর্ডগড়া ক্যাম্পবেলকে ফেরালেন শরিফুল
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক বড় শটে দলের রানের গতি বাড়ালেন জোনাথান ক্যাম্পবেল। সম্ভাবনা জাগালেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশের। তবে দুয়ারে গিয়ে থেমে গেলেন অভিষিক্ত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শরিফুল ইসলামের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিলেন ক্যাম্পবেল। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় স্রেফ ২৪ বলে তিনি করেন ৪৫ রান।
ফিফটি না পেলেওঅভিষেকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন সাবেক তারকা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারি মুসাকান্দার ৪৩ রান।
ক্যাম্পবেলের বিদায়ে ভেঙেছে ৪৩ বলে ৭৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৭ রান। ২৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ব্রায়ান বেনেট। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লুক জঙ্গুয়ে।
ক্যাম্পবেল-বেনেটজুটির পঞ্চাশ
৮ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছেন ব্রায়ান বেনেট ও অভিষিক্তি জোনাথান ক্যাম্পবেল। পাল্টা আক্রমণে দুজন মিলে এরই মধ্যে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি, স্রেফ ৩১ বলে।
১৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯৫ রান। ক্যাম্পবেল ১৮ বলে ৩৩ ও বেনেট ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত।
আরভিনকে ফেরালেন মেহেদি
আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে। চল্লিশ পেরোতেই ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তাদের পাঁচ ব্যাটসম্যান। সবশেষ আউট হলেন ক্রেইগ আরভিন।
শেখ মেহেদি হাসানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সোজা ডিপ এক্সট্রা কভারে থাকা লিটন কুমার দাসের হাতে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩ রান করতে তিনি খেলেন ১৬ বল।
১১ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৫ রান। সাত নম্বরে নেমেছেন অভিষিক্ত জোনাথান ক্যাম্পবেল। ৪ বলে ২ রানে খেলছেন ব্রায়ান বেনেট।
খালি হাতে ফিরলেন মাডান্ডে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারলেন না ক্লাইভ মাডান্ডে। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফিরলেন আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার। রিশাদ হোসেনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিলেন তিনি।
এতে এক ওভারে দুটি উইকেট পেলেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ।
১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৮ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন ও ব্রায়ান বেনেট।
দুর্দান্ত ক্যাচে রাজাকে ফেরালেন লিটন
রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় সফল হলেন না সিকান্দার রাজা। রিশাদ হোসেনের ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
ডিপ কাভার সীমানা থেকে অনেকটা দৌড়ে সামনে ঝাপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন লিটন কুমার দাস। ৮ বলে ৩ রানে ফেরেন রাজা।
১৩ বলে ৮ রানে খেলছেন ক্রেইগ আরভিন। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডে।
৯.১ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬ রান।
গাম্বিকে ফেরালেন সাইফ উদ্দিন
শুরু থেকেই রানের জন্য হাঁসফাঁসকরতে থাকা জয়লর্ড গাম্বিকে ড্রেসিং রুমে ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
টেস্ট ঘরানার ব্যাটিং করতে থাকা গাম্বি হুট করেই বড় শটের চেষ্টায় ক্যাচ দেন মিড অফে। নিরাপদে ক্যাচ নিয়ে ৩০ বলে ১৭ রান করা ওপেনারের বিদায় নিশ্চিত করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৭.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩১ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। ১০ বলে ৫ রানে খেলছেন ক্রেইগ আরভিন।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট
আঁটসাঁট বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটের বেশি হারায়নি সফরকারীরা। বিপরীতে করেছে ২২ রান।
পাওয়ার প্লেতে কোন চার মারতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ২৩ বল থেকে কোনো নিতে পারেনি তারা। ২ রান করে ফেরেন টাডিওয়ানাশে মারুমানি।
জয়লর্ড গাম্বি ২৫ বলে ১১ ও ক্রেইগ আরভিন ৭ বলে ৩ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন তাসকিন আহমেদ।
শুরুতেইতাসকিনের আঘাত
চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসেই প্রথম সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ রিভিউ নিয়ে তিনি ফেরালেন টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে।
লেগ স্টাম্প লাইনে পিচ করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি মারুমানি। জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তাসকিন। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ছিল ঠিকঠাক এবং আঘাত করত মিডল-লেগ স্টাম্পে।
তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ৪ বলে ২ রানে ফেরেন মারুমানি।
৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫ রান। তিন নম্বরে নেমেছেন ক্রেইগ আরভিন। ২০ বলে ৭ রানে খেলছেন জয়লর্ড গাম্বি।
জিম্বাবুয়ে দলে ক্যাম্পবেলের অভিষেক, ৩ পরিবর্তন
ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। অভিষেক হয়েছে সাবেক তারকা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে ২৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার জোনাথান ক্যাম্পবেলের।
এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন আইনস্লি এনডলোভু ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি।
প্রথম ম্যাচে মাথায় বলের আঘাত পাওয়া ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নেই এই ম্যাচে। এছাড়া শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে রাখা হয়নি একাদশে।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটরক্ষক), ব্রায়ান বেনেট, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাডান্ডে, লুক জঙ্গুয়ে, আইনস্লি এনডলোভু, জোনাথান ক্যাম্পবেল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।
বাংলাদেশের অপরিবর্তিত একাদশ
অনায়াস জয় পাওয়া প্রথম ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুই পেসার ও এক স্পিনারের সঙ্গে একজন করে পেস ও স্পিন অলরাউন্ডার নিয়ে নামছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকের আলি, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
আরও একবার টস জিতলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো এবারও আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম ম্যাচে তেমন পাত্তা পায়নি জিম্বাবুয়ে। এগিয়ে যাওয়ার অভিযানে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ ম্যাচের ৯টিই জিতেছে বাংলাদেশ। জয়ের সংখ্যা দুই অঙ্কে উন্নীত করার সুযোগ এবার নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাসদের সামনে।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি স্বাগতিকদের পক্ষে কাজ করেছে জিম্বাবুয়ের বাজে ব্যাটিং। তা সামলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাই করবে সফরকারীরা।