স্টিভেন স্মিথকে আউট করা নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক পরিকল্পনা বাতলে দিয়েছিলেন দলের কোচ, বোলিং কোচ। কম্পিউটার অ্যানালিস্ট হয়তো সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছেন স্মিথের ব্যাটিং বিশ্লেষণেই। কিন্তু যে বলে আউট হয়েছেন স্মিথ, সেটির ভাবনা এসেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের মাথা থেকে।
Published : 28 Aug 2017, 07:28 PM
দ্বিতীয় দিনে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটিই সবার আগে পেয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনে দক্ষ স্মিথকে বাংলাদেশ ফিরিয়েছে সাতসকালেই।
আগের দিন সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, স্মিথই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হুমকি। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের যে ব্যাটিং স্কিল, স্পিনে দক্ষতা ও উপমহাদেশে যে রেকর্ড, তাতে সাকিবের সঙ্গে দ্বিমত করার লোক কেউ ছিল বলে মনে হয় না। সেই স্মিথ বোল্ড ৮ রানেই।
মিরাজের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে একটু সামনে এসে অন সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন স্মিথ। কিন্তু বেরিয়ে আসায় ইয়র্ক মতো বানিয়ে ফেলেন বলটি। ব্যাটের মুখও ঘুরিয়ে ফেলেন একটু দ্রুত, তাতে ব্যাট-প্যাডে হয়ে যায় ফাঁক। সেই ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে বোল্ড করেন মিরাজ।
মুশফিকের পরিকল্পনা ছিল অনেকটা এরকমই। স্মিথকে সামনে টেনে এনে ভুল করানো। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সেই গল্প শোনালেন মিরাজ।
“স্মিথের জন্য একটি পরিকল্পনা ছিল। আগের দিন যখন একটা বল করেছিলাম, তখন মুশফিক ভাই বলেছিলেন, স্মিথকে যদি রাউন্ড দা উইকেটে ভালো জায়গায় বল করা যায়, তাহলে সে আটকে যায়। সেভাবে খেলতে পারে না, পায়ের ব্যবহার করতে পারে না। সামনে গিয়ে খেলে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় বল টার্ন করে স্টাম্পড হওয়ার সুযোগ থাকবে, ক্যাচ আউট হওয়ার সুযোগ আসবে।”
“আমি মুশফিক ভাইয়ের কথা মতোই করার চেষ্টা করেছি। রাউন্ড দা উইকেটে জায়গামতো করেছি, সেটি কাজে লেগেছে।”
স্মিথের আগে প্রথম দিন বিকেলে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেটও নিয়েছিলেন মিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের উইকেট, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ও একাদশ সেরা ব্যাটসম্যান। উইকেট দুটি দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে মিরাজকেও।
“অবশ্যই ভালো লেগেছে। বিশ্বের সেরা কয়েকজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে তাদেরকে ধরা যাবে। তাদের উইকেট পেয়েছি। খুব ভালো লেগেছে।”
পরিকল্পনা করে আউট বলেই হয়ত আনন্দ বেশি। মিরাজের মনে ছিল সেই রোমাঞ্চের দোলা।