ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে বেরিয়ে হনহন করে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্কট স্টাইরাস। বাংলাদেশের সংবাদকর্মী দেখে হাঁটার গতি একটু কমিয়ে বললেন, “টাফ লাক… ভেবেছিলাম সাকিব আজ কিছু করবে!” এমন কথার জবাব কী আর দেওয়া যায়। স্রেফ শুকনো হাসিতে সায় দেওয়ার মত ভঙ্গি করা!
Published : 08 Jan 2017, 09:54 PM
‘কিছু’ করার সুযোগ এদিন ছিল সাকিবের। নিউ জিল্যান্ডের রান উৎসবে ৪ ওভারে ২২ রান যথেষ্টই ভালো পারফরম্যান্স। তবে নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল ব্যাটিংয়ে। মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিল টপ অর্ডাররা। প্রয়োজন ছিল আলো ছড়ানোর। পারলেন না সাকিব।
নামের পাশে ৩৪ বলে ৪১ রান। এমনিতে চলনসই পারফরম্যান্স। কিন্তু দলের যখন প্রয়োজন দেড়শ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস, ১২০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস তো হারকেই ত্বরান্বিত করে!
শুধু এই ম্যাচই নয়, প্রথম ওয়ানডে বাদ দিলে সফরের বাকি সব ম্যাচেই সাকিব ব্যাটিংয়ে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। প্রথম ওয়ানডেতেও আউট হয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। বোলিংটা অবশ্য খারাপ হচ্ছে না। সাকিব নিজেও পূরণ করতে পারেননি নিজের প্রত্যাশা।
“বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু যত ভালো উইকেট ছিল আরও অনেক বেশি রান করা দরকার ছিল। সে দিক থেকে একটু হতাশ তো অবশ্যই।”
শেষ টি-টোয়েন্টিতে বড় রান তাড়ায় দলকে পথে রেখেছিলেন সৌম্য, তামিমরা। সাকিবের একটি ঝড়ো ইনিংস দলকে এগিয়ে নিতে পারত জয়ের দিকে। কিন্তু পারেননি তিনি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে।
শুধু এই ম্যাচে নয়, আগের ম্যাচগুলিতেও দেখা গেছে একই অবস্থা। সাকিবের মত পারেননি অন্যরাও। সাকিব একটা ব্যাখ্যাও দাঁড় করাতে পারলেন।
“আসলে যেটা হয়, যখন উইকেট টানা পড়তে থাকে তখন মোমেন্টাম আসাটা খুব মুশকিল হয়ে যায়। ওটাই আমাদের সমস্যা ছিল। পুরো সিরিজে আমরা তেমন কোনো জুটি গড়তে পারিনি। একটা ব্রেক থ্রু আসে, আবার দুই ওভার পর আরেকটা আসে, এমন হলে মোমেন্টামে ছেদ পড়ে। তেমন হলে ওই রান তাড়া করাটা কঠিন হয়ে যায়।”
কঠিন তো বটেই। তবে কঠিনকে জয় করলেই না ভালো থেকে খুব ভালো, কিংবা গ্রেট হওয়া যায়! সাকিবের কাছে দেশের প্রত্যাশা তেমন কিছুরই।