পাশ থেকে সতীর্থদের ফুটবল দেখে নানা ফোড়ন কাটছিলেন মুস্তাফিজ। ফিটনেসের অগ্রগতি জানতে চাইতেই চেনা ঢংয়ে বললেন, “এই তো, ভাল যাচ্ছে সবই…।”
“সব ভালো যাচ্ছে” এই কথা তিনি বেশ আগে থেকেই বলছেন। তবে এবার ভালো খবর আছে সত্যি। ফুটবলের অনুমতি না মিললেও আসল সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন মুস্তাফিজ।
বোলিং তো নিয়মিতই করছেন। সমস্যা ছিল ফিল্ডিং আর থ্রোয়িংয়ে। রোববার হালকা ফিল্ডিং আর রিলে থ্রো অনুশীলন করেছেন মুস্তাফিজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, পেয়েছেন ফিজিওর সবুজ সঙ্কেত। বাংলাদেশ দলের ফিজিও ডিন কনওয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত মুস্তাফিজ।
তবে ফিজিওর ছাড়পত্রই শেষ কথা নয়। ৮০-৯০ শতাংশ ফিট হয়েও মাচ খেলার অনুমতি মিলে যায় অনেক সময়। কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে চান ‘শতভাগ ফিট’ মুস্তাফিজকে।
“আমি সবাইকে শতভাগ ফিট চাই। আমরা একজনের দল নই। সবাইকে শতভাগ থাকতে হবে। সকালে যদি সে মনে করে শতভাগ আছে, তাহলে খেলবে।”
মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য কোচের মত অতটা কঠোরভাবে ভাবছেন না; বরং যথেষ্ট মনে করছেন ফিজিওর ছাড়পত্রকে। মুস্তাফিজ খেলতে প্রস্তুত। তবে শেষ পর্যন্ত প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবেন, নাকি সতর্কতার জন্য অপেক্ষা বাড়বে একটু, সেই সিদ্ধান্ত স্বয়ং মুস্তাফিজের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“সব কিছু নির্ভর করছে ওর ওপরই। কারণ দিনশেষে, শেষ সিদ্ধান্তটি ওরই। মুস্তাফিজের মত একজনের জন্য আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এজন্যই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকেও বোলিং করেছে, কিছু ফিল্ডিং করেছে। শেষ রিভিউটা করতে হবে।”
মাশরাফির নিজের মনোভাব যা বোঝা গেল, ঝুঁকি এখন আর খুব একটা নেই। ক্যারিয়ার জুড়ে চোট-আঘাতের সঙ্গে লড়তে লড়তে নিজেই এক রকম বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। তার মতে, এসব চোটের ক্ষেত্রে পাঁচ মাস সময় যথেষ্টরও বেশি।
বাকি কেবল মানসিক বাধা। মুস্তাফিজ যদি সেটুকু জয় করে ‘হ্যাঁ’ বলে দেন, তাহলেই বক্সিং ডে ম্যাচের একাদশে উঠবে তার নাম। হ্যাগলি ওভালের ২২ গজে দেখা যাবে সেই কাটার আর স্লোয়ার।