নেপালের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের তিনটি টার্নিং পয়েন্টই বাংলাদেশের পক্ষে গেছে।
Published : 05 Feb 2016, 06:17 PM
২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৮ রান। জাকির হাসানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।
দলীয় ১৩৫ রানের সময় হঠাৎ মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। ৩৮তম ওভারে লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানের বলে এগিয়ে এসে হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি, বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি।
স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি নেপালের অধিনায়ক রাজু রিজাল। সেই সময় ২৫ রানে ব্যাট করা মিরাজ শেষ পর্যন্ত খেলেন অপরাজিত ৫৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ স্বীকার করেন সেই সময়ে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি, “মিড অফ সামনে ছিল, চেষ্টা করছিলাম বেরিয়ে মারার জন্য। পরে যখন স্টাম্পিংটা মিস হল, তখন জাকির আমাকে এসে বোঝায় যে, এখনও রিল্যাক্সড হওয়ার কিছু নেই। আরও অনেক দূর যেতে হবে। এরপর আর সমস্যা হয়নি।”
অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে জাকিরের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় সেমি-ফাইনালে। এর আগে এই পর্যায়ে যেতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো দল।
নেপাল ইনিংসে রিজালের সঙ্গে আরিফ শেখের জুটি আইসিসির সহযোগী দেশটিকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে বল দেন মিরাজ। অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের প্রথম ওভারেই ফিরে যান আরিফ।
ম্যাচের আরেক টার্নিং পয়েন্ট ছিল রিজালের রান আউট। নেপালের অধিনায়ক যখন ব্যাট করছিলেন তখন ২৫০ রানও সম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রিজাল রান আউট হলে তত দূর যায়নি নেপালের সংগ্রহ।
“ওরা যখন খুব ভালো একটি জুটি গড়ে তুলেছিল, শান্তর দারুণ ফিল্ডিংয়ে একটি রান আউট হয়। এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপর থেকেই আমরা কামব্যাক করতে পেরেছি।”
এর আগে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সুনিল ধামালকেও রান আউট করেন টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফিল্ডিং করা শান্ত।