ইতিহাস গড়া দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিন রাজত্ব করেছেন বোলাররা। গোলাপী বলের এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কোনোমতে দুইশ’ পার হয়েছে নিউ জিল্যান্ড। সিরিজের তৃতীয় ও টেস্টের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে।
Published : 27 Nov 2015, 05:24 PM
প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান। এখনও ১৪৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে দলটি। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ২৪ ও অ্যাডাম ভোজেস ৯ রানে ব্যাট করছেন।
চতুর্থ ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম টেস্টে জোড়া শতক (১৬৩ ও ১১৬), দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিশতক (২৫৩, ২৪) করা ওয়ার্নার এবার ভালো করতে পারেননি। ১ রান করে টিম সাউদিকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জো বার্নসকে (১৪) বোল্ড করেন ডগ ব্রেসওয়েল। বাকি সময়টুকু নিরাপদেই কাটিয়ে দেন স্মিথ-ভোজেস।
এর আগে শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারেই ফিরে যান মার্টিন গাপটিল।
কেন উইলিয়াসনের সঙ্গে ৫২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অর্ধশতক করা টম ল্যাথাম। প্রথম ১৯ বলে ১৯ রান করা উইলিয়ামসন হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। শেষ ৩৯ বলে তিন রান সংগ্রহ করেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শেষ হয় তার দুই মেজাজে ব্যাটিংয়ের ২২ রানের ইনিংসটি।
সর্বোচ্চ ৫০ রান করা ল্যাথাম নিউ জিল্যান্ডকে ২ উইকেটে ৯৪ রানের ভালো ভিতের ওপর দাঁড় করান। কিন্তু চার রানের মধ্যে ল্যাথাম, আগের টেস্টে দ্বিশতক করা রস টেইলর (২১) ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বিদায়ে বিপদে পড়ে অতিথিরা।
ওয়াটলিংয়ের বিদায়ের পর বেশি দূর এগোয়নি নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক (৩/২৫) ও জস হেইজেলউড (৩/৬৬) তিনটি করে উইকেট নেন। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া স্টার্ক ৯ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। ক্রিকেট ইতিহাসের দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্টের প্রথম ওভারটি করেন এই বাঁহাতি পেসার।
এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন নাথান লায়ন ও পিটার সিডল। পেসার সিডল এই দুই উইকেট নিয়ে টেস্টে দুইশ’ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এই প্রথম কোনো টেস্টে ছিল না লাঞ্চ, তার বদলে দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে দেওয়া হয় ডিনার। প্রথম সেশন শেষে ছিল চা পানের বিরতি। দীর্ঘ দিন শেষে ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপী বল দেখতে তেমন সমস্যা হয়নি ব্যাটসম্যানদের। তবে বল পুরানো হওয়ার পর বাড়তি সুইং পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা।